কৌশিক দে , মালদহ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানোর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেল দুঃস্থ পরিবার। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম ছেলের চিকিৎসার খরচের চিন্তায় দিন দিশাহারা হয়ে পড়েছিল পরিবারটি।
আরও পড়ুন : সাফল্যের পালক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুলিতে, টুইট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
হাতে ছিল না স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। নির্বাচনীবিধির কারণে বন্ধ ছিল প্রকল্পের কাজ। চিকিৎসার ব্যবস্থার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন জখম কিশোরের মা হরিশচন্দ্রপুরের চম্পা দাস। চিঠি পাওয়া মাত্রই মানবিক মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন প্রশাসনকে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
দিন কয়েক আগে মোটর বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় হরিশ্চন্দ্রপুরের চিতোলিয়া গ্রামের কিশোর দেবা দাস। মাথায় গুরুতর চোট লাগে। স্মৃতিভ্রংশ ওই কিশোরের। বর্তমানে পুরোপুরি শয্যাশায়ী। চিকিৎসক জানিয়েছেন দ্রুত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। নাহলে অবস্থার আরও অবনতি হবে। চিকিৎসাও ব্যয়সাপেক্ষ। দুঃস্থ পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। একমাত্র ছেলের চিকিৎসার খরচ ভেবে চোখে ঘুম নেই বাবা-মায়ের। মা চম্পা দাস চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন : শেষ পর্যন্ত আফগান রাজধানী কাবুলেও ঢুকে পড়ল তালিবান
অসহায় পরিবারটিকে অভিভাবকের মত সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দেন দ্রুত ওই কিশোরের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে দেওয়ার। তৎপর প্রশাসন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেয় পরিবারটির হাতে।
চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নিদের্শে পরিবারটির হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেওয়া হয়। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, ‘আমাদের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী যে দুঃস্থ মানুষের পাশে আছেন।’