প্রতিবেদন : বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা ও অবহেলা চলছেই। তা সত্ত্বেও উন্নয়নের কাজ থেমে নেই বাংলায়। শুধু উত্তরের জেলাগুলির উন্নয়নে রাজ্য ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি কাজ করেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সুভাষিণী চা বাগানের পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মঞ্চ থেকে পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরব হন কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে। পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ান দিয়ে তিনি জানান, মা-মাটি-মানুষের সরকারের আমলে উত্তরবঙ্গের জন্য রাজ্য কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ করেছে। বলেন, উন্নয়নই আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার। কেন্দ্র যতই বঞ্চনা আর অবহেলা করুক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে বাংলায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) আমন্ত্রণে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জন বার্লা৷ তিনি বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ডুয়ার্স–সহ উত্তরবঙ্গের জন্য অনেক উন্নয়ন করেছেন৷ আরও করবেন৷ এতে আমরা সকলেই খুশি৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে রাজ্য ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি কাজ করেছে। কেন্দ্র একশো দিনের শ্রমিকদের বকেয়া টাকা দেয়নি। আমরা তা মিটিয়েছি। কর্মসূচি প্রকল্পে তাদের কাজ দিয়েছি। আবাসেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা অব্যাহত। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের তরফে বাংলার বাড়ি দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে বাংলার বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে। আমরা সমীক্ষা করে দেখেছি। আরও ১৬ লক্ষ উপভোক্তা বাংলার বাড়ি পাবেন শীঘ্রই। পর্যটনের বিকাশ হয়েছে উত্তরবঙ্গেও। শিক্ষার উন্নয়নে একাধিক কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ হয়েছে। পানীয় জলের প্রকল্প-সহ নানাবিধ সরকারি উন্নয়নমূলক কাজ করেছে আমাদের সরকার।
আরও পড়ুন- নেতাজিকে সম্মান-মর্যাদা দেয়নি কেন্দ্র, দিয়েছে বাংলা, ডুয়ার্সে মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, আদিবাসীদের জমি কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। বনাঞ্চলের কিছু এলাকায় জনজাতির জমি দখলের চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর হুঁশিয়ারি, জনজাতির জমি যেন কেউ হাতিয়ে না নিতে পারে। সেটা দেখতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। আইন মেনেই জনজাতির জমির অধিকার রক্ষা করতে হবে। আমার কাছে খবর এসেছে জয়গাঁওয়ে উচ্ছেদের চেষ্টা হচ্ছে। আমি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে যাচ্ছি, কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না। আগে পুনর্বাসন দিতে হবে। এটা আমাদের সরকারের নীতি। এদিন সরকারি মঞ্চ থেকে ১০৮ কোটি ৭৩ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের সূচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ হাজার উপভোক্তার হাতে সরকারি পরিষেবাও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ৮ হাজার জমির পাট্টা দেন। বাগান শ্রমিকদের চা-সুন্দরী প্রকল্পে ঘর দেওয়া হয়েছে বলে জানান।