রাজ্যে বর্তমানে ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার মহিলা লক্ষীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে সুবিধা পাচ্ছেন। শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের ২২ হাজার ৪৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়াও ২০১৮ সাল থেকে চালু হওয়া রুপশ্রী প্রকল্পে সরকারি কোষাগার থেকে ৪হাজার ১২৬কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্পে তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর মহিলাদের মাসে এক হাজার টাকা এবং সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-টানা বৃষ্টি দার্জিলিংয়ে, প্রবল ধসে মৃত এক
চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই জানা গিয়েছিল রাজ্যে এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প চালাতে বছরে খরচ হচ্ছে ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। প্রতি মাসে খরচ হচ্ছে ১০৩০ কোটি টাকা। এই টাকার একটা বড় অংশই ফেরত আসছে রাজ্যের বাজারে। যার জেরে আমজনতার কেনাকাটার পরিমাণ বেড়েছে। বাজার সতেজ হয়েছে। গ্রাম বাংলার অর্থনীতির চাকা ঘুরে চলেছে। কেন্দ্র সরকার যখন ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে তখন এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাই গ্রাম বাংলার অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মাত্র ২৫ বছর বয়স হলেই বাংলার মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁরা সেই প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারেন। ৬০ বছর বয়স হলেই তাঁদের নাম রাজ্য সরকারের নিজস্ব বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প ‘জয় বাংলা’-তে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে৷ সেই সূত্রে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সব উপভোক্তাই ৬০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করেই পারবেন।