সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : ভুটান সীমান্ত সংলগ্ন প্রান্তিক কুমারগ্রামের চা-বাগান ও বনবস্তি এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা কুমারগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তবে এতদিন সেখানে শুধুমাত্র বহির্বিভাগই ছিল। জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে কোনও রোগীকে ভর্তি করতে হলে তাঁকে নিয়ে ছুটতে হত কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। তাই স্থানীয়রা ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকেই হাসপাতালে রূপান্তরিত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-বিজেপি জেলা সভাপতির নামে পড়ল চোর পোস্টার
অবশেষে সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে কুমারগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চালু হল দশ শয্যা বিশিষ্ট অন্তঃবিভাগ। কিছুদিন আগেই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে পরিষেবা শুরু করা যায়নি। সোমবার থেকে দুই চিকিৎসক ও তিন নার্স-সহ অন্যান্য কর্মচারীদের নিয়ে অন্তঃবিভাগের পরিষেবা শুরু হল। এর ফলে ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে গত কয়েকবছরে।
আরও পড়ুন-চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কড়া নির্দেশ স্বাস্থ্য বৈঠকে
বিশেষ করে উত্তরের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিষেবা নতুন রূপ পেয়েছে। বক্সা অঞ্চলে বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু থেকে শুরু করে দার্জিলিংয়ের হাসপাতালে অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির ব্যবহার, তৃণমূল সরকারের আমলে হাল ফিরেছে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার। কুমারগ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তঃবিভাগ চালু হওয়ার মাধ্যমেও ওই এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও কয়েকধাপ উন্নত হল।