প্রতিবেদন : স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আর্থিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তুলতে রাজ্য সরকার আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আনন্দধারা প্রকল্পের আওতায় এই বরাদ্দ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ১২ লক্ষের বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও এর সঙ্গে জড়িত ১ কোটি ২১ লক্ষ পরিবার উপকৃত হবেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য অনুদান বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। ২০২১-২২ আর্থিক বছর থেকে এই অনুদানের পরিমাণ দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৫০০ কোটি থেকে হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বড়দিনে রাজ্যে নামবে তাপমাত্রা
বস্তুত, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নিরিখে এই মুহূর্তে সারা দেশে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের মোট স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা ১২ লক্ষ ১ হাজার। এর সঙ্গে জড়িত প্রায় ১.২১ কোটি পরিবার। কাঁথা সেলাইয়ের মতো পণ্য, ডোকরা, ঘরে তৈরি চকোলেট, মাদুর ম্যাট থেকে ফুড প্রসেসিং, মিষ্টিহাব— একাধিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। প্রসঙ্গত, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সম্প্রসারণে জেলা ভিত্তিক একাধিক মেলাও চালু করেছে রাজ্য। কলকাতার আদলে চলতি বছর থেকে সরস মেলা শুরু হয়েছে দার্জিলিংয়েও।
আরও পড়ুন-‘এক ডাকে অভিষেক’-এ ফোন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন পড়ুয়া
প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছরে ২১টি মেলা থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মোট বিক্রয়ের পরিমাণ ১২.২১ কোটি টাকা। আগামী বছরের শুরুতে ১০ জানুয়ারি থেকে দেশবন্ধু পার্কে এবং ২৪ জানুয়ারি থেকে পার্ক সার্কাস ময়দানেও দুটি মেলা অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্যের বাইরেও জাতীয় স্তরের একাধিক মেলায় অংশ গ্রহণ করেছে এরাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, গুরুগ্রাম, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, বিহার, দিল্লি। বিক্রয় বাড়ানোর জন্য কৌশলগতভাবে ই-বিক্রয় কেন্দ্রও চালু করেছে রাজ্য। রাজ্যের তরফে ফি বছর এক কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীর স্কুল ইউনিফর্ম বিতরণ করা হয়। এর সেলাইয়ের কাজও করেন এই গোষ্ঠীর মহিলারা।