কাবুল : চলতি পরিস্থিতি বজায় থাকলে আসন্ন শীতে আফগানিস্তানে কমপক্ষে ১০ লক্ষ শিশু অনাহারে মারা যাবে। একমাস আগে তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর এখন সে দেশে তীব্র খাদ্যসংকট তৈরি হয়েছে। সে দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ জানেন না কোথায় বা কীভাবে খাবার মিলবে। তালিবান ক্ষমতায় আসার পর বহু মানুষের কাজ চলে গিয়েছে। মৃত্যুভয়ে স্বেচ্ছা গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন বহু পরিবার। সবমিলিয়ে অরাজকতা তুঙ্গে। দেশের সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জেনেভায় এক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে প্রতি তিনজন আফগানবাসীর মধ্যে একজন জানেন না, কোথা থেকে খাবার পাবেন বা আদৌ খাদ্য পাবেন কি না।
আরও পড়ুন :তালিবানকে অবিশ্বাস, তাই দেশছাড়া আফগান নেত্রীরা
দীর্ঘ দুই দশকের যুদ্ধ শেষে এক ভয়ানক সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে এই দেশ। সম্ভবত এর আগে আফগানিস্তানে কখনও এই ধরনের সংকট তৈরি হয়নি। এতদিন আফগানিস্তানের অর্থনীতি সচল ছিল মূলত বিদেশি সাহায্যের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু তালিবান জমানায় ইতিমধ্যেই সেই সাহায্য আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ফলে দেশের আর্থিক সংকট তীব্রতর হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যে বাণিজ্য চলত, তালিবানি ফতোয়ায় তাও বন্ধের মুখে। ফলে বহু ব্যবসায়ীর ব্যবসা লাটে উঠেছে। প্রতিটি খাদ্যদ্রব্যের দাম বেশ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। তালিবান সরকার অবিলম্বে এই খাদ্যসংকট মোকাবিলা না করলে আফগানিস্তান এক ভয়াবহ খাদ্যসংকটের মধ্যে পড়তে চলেছে। রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন মহাসচিব গুতেরেস।