নারীর সুরক্ষায় দশভুজা রূপে রাজ্য পুলিশ, হাতিয়ার ১০ প্রকল্প

মা দশভুজা যেমন তাঁর ১০ হাতে ১০ অস্ত্র নিয়ে অসুর দমন করেছিলেন, তেমনি রাজ্য পুলিশ ১০ প্রকল্প চালু করে মহিলাদের সুরক্ষায় তৎপর হল।

Must read

প্রতিবেদন : লক্ষ্য নারীর সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন। শারদোৎসবের মরশুমে রাজ্য পুলিশের অভিনব উদ্যোগ ‘দশভুজা’ প্রকল্প। মা দশভুজা যেমন তাঁর ১০ হাতে ১০ অস্ত্র নিয়ে অসুর দমন করেছিলেন, তেমনি রাজ্য পুলিশ ১০ প্রকল্প চালু করে মহিলাদের সুরক্ষায় তৎপর হল।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

নারী-সুরক্ষার বিষয়ে সর্বদাই তৎপরতা দেখিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন আরও বেশি করে মহিলারা পুলিশের কাজে যোগ দিন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো উইনার্স টিম বাড়ানো হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই নারী-সুরক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নে শারদোৎসবের প্রাক্কালে ১০টি প্রকল্প চালু করে বনগাঁ জেলা পুলিশ। শনিবার নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিও সংবলিত সেই তথ্য প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে দশভুজা প্রকল্পে অগ্রগতির কথা। দেবীদুর্গার দশ হাতের ১০টি অস্ত্রের নিরিখে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে দশভুজা। এই প্রকল্পের দশটি যে ভাগ রয়েছে তাদের নাম দেওয়া হয়েছে— নিরীক্ষা, শক্তি, রক্ষাকবচ, জাগৃতি, বার্তা, নীতি-সততা, দৃষ্টি, প্রতিষ্ঠা, প্রগতি, সমতা।

আরও পড়ুন-সংঘ-প্রধানকে পাল্টা তৃণমূলের

এই প্রকল্পগুলির সব ক’টিরই মূল উদ্দেশ্য এক, নারীর সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন। বনগাঁ জেলা পুলিশের এসপি দীনেশ কুমার বলেন, প্রকল্পটির লক্ষ্য মহিলাদের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নিরীক্ষা-প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যৌন-হয়রানির কোনও অভিযোগ এলে সেগুলি দেখার জন্য অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ-ছাড়াও মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচালয় তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রক্ষাকবচ প্রকল্পের মাধ্যমে কোনও জায়গা থেকে অভিযোগ এলে সাত মিনিটের মধ্যে নির্যাতিতার কাছে পৌঁছতে হবে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা প্রদানকারী অফিসারদের। নির্দিষ্ট স্থানে একটি করে গাড়ি এবং দু’জন করে পুলিশকর্মী রাখা হচ্ছে। তাঁদের শরীরে ক্যামেরা লাগানো থাকবে এবং সঙ্গে স্মার্টফোন রাখতে হবে। শক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের আত্মরক্ষার পাঠ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ১৩০টি স্কুলকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে তিন মাস ধরে দিনে দুবার করে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ-ছাড়াও শিশুদের ‘ভাল ছোঁয়া খারাপ ছোঁয়া’র পার্থক্য বোঝানো হবে স্কুলে। লিঙ্গ নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ার পাঠ দেওয়া হবে। প্রযুক্তির অগ্রগতি নিয়েও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি মহিলামহল থেকে সকলেই।

Latest article