মানসিক বিকৃতির চূড়ান্ত নিদর্শন যোগীর রাজ্যে। উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) সাহরানপুরে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে খেলা করছিল ১০ বছরের এক বালিকা। সেই সময় তাঁকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যান এক প্রৌঢ়। এরপরেই একটি কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে বালিকাকে ধর্ষণ করেন তিনি। ধরা পড়ার ভয়ে প্রৌঢ় এরপর মেয়েটিকে গলা টিপে খুন করেন। এখানেই শেষ নয়, মেয়েটির বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে একটি ঝোপে তাঁর দেহ ফেলে দেন তিনি। ৫০ বছরের এই বৃদ্ধ ১০ বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করেছেন বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তকে রবিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা দেহ ছিড়ে খেল কুকুর
পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি মেয়েটির বাড়ির পাশেই থাকেন। তাই এই ব্যক্তিকে ধরে কাছে দেখলেও কেউ কোনদিন আপত্তি জানায় নি। শুক্রবার অনেক রাত হয়ে গেলেও মেয়েটি বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবার খোঁজ শুরু করে। শনিবার সকালে ওই ঝোপ থেকে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায় বালিকাকে খুনের আগে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। ওই প্রৌঢ়কে রবিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত প্রৌঢ় অবিবাহিত এবং মাদকাসক্তিও রয়েছে। এদিকে মেয়েটির বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রৌঢ়কে। স্বাভাবিকভাবেই ঘৃণ্য এই হত্যাকাণ্ডের পরে আরো একবার প্রশ্নের মুখে পড়ল যোগীরাজ্যে নারী সুরক্ষা।