প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্যে ১১ লক্ষের বেশি পাকা বাড়ি তৈরি করা হবে। ৩১ মার্চের মধ্যে ওই প্রকল্পে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি বানানোর কাজ সেরে ফেলতে হবে বলে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সোমবার সমস্ত জেলার জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন। কীভাবে ওই লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করা যাবে তার পথ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। সেখানে বলা হয়েছে বাড়ি তৈরির অনুমোদন মেলার চল্লিশ দিনের মধ্যে জানালা পর্যন্ত গাঁথনির কাজ শেষ করতে হবে । তার আরও ৩৫ দিনের মধ্যে লিন্টন পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন-বছরের দ্বিতীয় দিনেই লাইনচ্যুত সূর্যনগরী এক্সপ্রেস
এর ১৫ দিন পর বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করার পর সরকারি সমীক্ষক দল ওই বাড়ি পরিদর্শন করতে যাবেন বলে জানানো হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কোচবিহারে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ১৯ হাজারের বেশি পরিবারকে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে কম আবেদন জমা পড়েছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। সেখানে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার বাড়ি বানানোর জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আবাস যোজনায় গত মাস পর্যন্ত আবেদন সংগ্রহ করেছে সরকার। সেই সব আবেদন স্ক্রুটিনি ও ভেরিফিকেশনের পর চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়েছে। মুখ্যসচিব স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ৩১ মার্চ তথা বর্তমান আর্থিক বছরের মধ্যেই। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ১০ লক্ষ ১৯ হাজার জনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-শুভ নববর্ষ লেখা ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে দেদার হামলা রাশিয়ার
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সরকার প্রতিটি ধাপে কীভাবে নজরদারি চালাবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট গাইডলাইন দিয়েছেন মুখ্যসচিব। শুধু তাই নয়, উপভোক্তারা কীভাবে তাঁদের বাড়ি বানাবেন, কোনও অসুবিধা হলে কোথায় সাহায্য পাবেন সে ব্যাপারেও গোড়াতেই তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হবে। সোমবার এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই প্রকল্পের জন্য টাকা আগেই দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রের। কিন্তু আর্থিক বছরের শেষে এসে টাকা দিল। তিন মাসের মধ্যে সাড়ে ১১ লক্ষ পরিবারকে চিহ্নিত করে কাজ শেষ করা মুখের কথা নয়। আসলে বিজেপি রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকে বড় করে দেখাতে চায়। সেই কারণেই বছরের শেষে এসে টাকা দিল। এরপর টাকা খরচে দেরি হলে বলবে, দেখো পারল না।