প্রতিবেদন : নির্বাচন কমিশনের ভোটের অ্যাপে রাতারাতি নাম বদলে ‘রাম’থেকে হয়ে গেল ‘নরেন্দ্র’! বীরভূমে অন্তত ১১ জনের এভাবে রাম থেকে নরেন্দ্র হয়ে যাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সংশ্লিষ্ট ভোটারদের দাবি, তাঁরা নিজেদের নাম বদল করেননি। নির্বাচন কমিশনই এই কাণ্ড করেছে বলে অভিযোগ। তবে নিছক যান্ত্রিক ত্রুটি না পরিকল্পিত হস্তক্ষেপ, তাই নিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্তি বেড়েছে।
আরও পড়ুন-সবার দাবি মানা সম্ভব নয় কোর্টে সওয়াল কল্যাণের
এই ঘটনায় বীরভূম জেলা প্রশাসনের আধিকারিক থেকে বিএলওরাও একেবারে দিশেহারা। নাম পালটে যাওয়ার এই বিষয়টি প্রথম নজরে আসে রাজনগরের শংকরপুরের রাম টুডুর। পেশায় দিনমজুর ২৮ বছর বয়সী রাম জানেনই না তাঁর নাম কীভাবে নরেন্দ্র টুডু হয়ে গেল। কেননা তিনি নিজের এনুমারেশন ফর্মপূরণ করেছেন রাম টুডু নামেই। ওই বুথের বিএলও নবকুমার মণ্ডল বলেন, আমরা সত্যিই বিভ্রান্ত। আমাদের কাছে নির্বাচন কমিশন থেকে যে অ্যাপ দেওয়া হয়েছে তাতে নরেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু আদতে উনি রাম। আধার কার্ড, এলাকায় পরিচিতি রাম নামেই। পেশায় দিনমজুর দুবরাজপুরের রাম বাউরির ছেলে রাজেন বলেন, এবার বাবার নাম পালটে যাবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। তাঁর বুথের বিএলও রূপালি সাহা মণ্ডল জানান, বিডিওকে জানাতে তিনি সব নথি নিয়ে আসতে বলেছেন। আশা করি ভুল সংশোধন হয়ে যাবে। দীর্ঘদিন ধরেই চিনপাই পশ্চিমের প্রবীণ বাসিন্দা রাম বাগদি রাম নামেই ভোট দিয়ে এসেছেন। তাঁর নামও বদলে এবার হয়ে গিয়েছে নরেন্দ্র। বিএলও জয়ন্ত ঘোষাল বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরাও এটা দেখে ঠিক করতে পারিনি। কারণ দীর্ঘদিন ধরে যিনি রাম, কমিশনের অ্যাপে তিনি কী করে নরেন্দ্র হন! জেলা প্রশাসনের কাছে রাজনগর এলাকার ‘রাম’ বদলে ‘নরেন্দ্র’ হওয়ার ৮টি এনুমারেশন ফর্ম হাতে এসেছে। দুবরাজপুরে আছে তিনটি। সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরির কথায়, বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে জালিয়াতি করাচ্ছে। ওরা ভেবেছিল ফাঁকা ময়দানে যা খুশি চালিয়ে যাবে। আমরা নজরদারি রাখায় ভুরি ভুরি ভুল ধরা পড়ছে। তবে আমাদের পরিষ্কার কথা, রামই কর আর নরেন্দ্রই কর, দিদির বাংলায় জালিয়াতি করা যাবে না।

