প্রতিবেদন : ১১,৭৬৫ জনের তালিকা তৈরি। প্রস্তুত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বল সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম স্থগিতাদেশ উঠে গেলেই শুরু নিয়োগ প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই প্যানেল তৈরির কাজ সেরে ফেলেছে পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। আজ, সোমবার শীর্ষ আদালত ছাড়পত্র দিলেই দ্রুত চাকরিপ্রার্থীদের হাতে সেই নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে, খবর পর্ষদ সূত্রে।
আরও পড়ুন-কর্ণাটকে আম্বেদকরের প্রতিকৃতি নিয়ে অর্ধ.নগ্ন হয়ে কুচকাওয়াজে ছাত্র
নিয়োগ প্রক্রিয়া কাউন্সেলিং, ইন্টারভিউ পর্যন্ত এগিয়েও আইনি জটে আটকে যায়। ফলে নিয়োগপত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। চাকরিপ্রার্থীদের লাগাতার আন্দোলন চলাকালীন তাঁদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর কথা বলিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেই আলোচনা সদর্থক হয়েছিল বলেও জানিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এমনকী আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের বিকল্প প্রস্তাব শুনতেও রাজি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল নিয়োগ-সংক্রান্ত গোটা বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন-টেনকাসিতে লরির সঙ্গে গাড়ির সং.ঘর্ষে নিহত ৬ যাত্রী
এরপরই নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে শুরু করে পর্ষদ। সুপ্রিম নির্দেশ পেলেই দ্রুত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। ২০২২ সালের নিয়োগের সেই প্যানেল সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট গত বছরেই জানিয়ে দিয়েছিল, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য বিএড ডিগ্রিধারীরা সুযোগ পাবেন না। এর জন্য ডিএলএড পাশ জরুরি। যদিও ২০১৪ সালের সময় এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু জটিলতা তৈরি হওয়ায় ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণেরা ২০২০ সালে ডিএলএড কোর্সে ভর্তি হন। কিন্তু ২০২২-এর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়ে তাঁরা মার্কশিট হাতে পাননি। তাঁরা চাকরিতে সুযোগ পাবেন কি না, এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। এর ফলেই ২০২২-এর নিয়োগ প্যানেলে স্থগিতাদেশ জারি হয়েছিল।