প্রতিবেদন : আজ, রবিবার রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই সমারোহের মধ্য দিয়ে পালিত হবে রথযাত্রা। জেলায় জেলায় বসবে রথের মেলা। এই আবহে পূর্বস্থলীর নতুনগ্রামের কারিগরেরা রথের মেলার জন্য নাওয়া-খাওয়া প্রায় ভুলে ছোট-বড় কাঠের জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম গড়ে ফেলেছেন। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের নতুনগ্রামের পরিচিতি কাঠপুতুলের গ্রাম হিসেবে। গ্রামের ৫০টি পরিবার বংশ পরম্পরায় কাঠের পেঁচা তৈরির শিল্প টিকিয়ে রেখেছে। রথের মেলার জন্য এঁরা প্রতি বছরই বানান কাঠের তৈরি ছোট ছোট জগন্নাথ। পাশাপাশি মেলার জন্য বড় কাঠের জগন্নাথেরও বরাত পান। বরাবরের মতো এবারও দাদা ও বোন-সহ পূর্বস্থলীর ১২ হাজার কাঠের জগন্নাথ পাড়ি দিয়েছেন দূরদূরান্তের রথের মেলায়।
আরও পড়ুন-পরকীয়া লুকোতেই ঠান্ডা মাথায় পুড়িয়ে খুন পরিবারকে, আটক ২
নতুনগ্রামের কাঠের জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা এবারেও ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে।দমদম, নাগেরবাজার, শ্রীরামপুর, গুপ্তিপাড়া, কালীঘাট, চন্দননগরে। ফলে চওড়া হাসি ফুটেছে এখানকার শিল্পীদের মুখে। কাঠের পুতুল তৈরি করে অর্থনীতির হাল ফিরেছে। এঁদের তৈরি কাঠের রাশিয়ান ডল স্পেনের মিউজিয়ামে স্থান পেয়েছে। আফ্রিকান ডলের আদলে কাঠের দুর্গাপ্রতিমার জায়গা হয়েছে বিশ্ববাংলার বিপণন কেন্দ্রগুলিতেও। নতুনগ্রামের শিল্পীরা কাঠের পেঁচা, রাজা-রানি পুতুলেই সীমাবদ্ধ না থেকে ঘর সাজানোর জন্য নানা কাঠের সুদৃশ্য জিনিসপত্র, আসবাবপত্র তৈরি করছেন। ঘর সাজানোর জন্য ছোট ছোট পেঁচার চেন, পেঁচা দিয়ে ঘড়ি, আসবাবপত্র তৈরি করছেন। সেই সঙ্গে রথের আগে প্রতিটি বাড়িতেই প্রায় ৩০০-৪০০ ছোট-বড় জগন্নাথ তৈরির বরাত থাকে। তিন ইঞ্চি থেকে বড় সাইজেরও হয়। ফলে রথের মেলায় ভালোই আয় হয় সবার।