সংবাদদাতা, লাভপুর : গত তিনদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টির জেরে লাভপুর বিধানসভার একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এক মাসের মধ্যে ফের তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। রবিবার সারাদিন বৃষ্টির ফলে ভোররাতে লাভপুরের কুঁয়ে নদীর জল বেড়ে গিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে প্রায় ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়। কয়েক লক্ষ হাজার হেক্টর চাষের জমি নদীর জলের তলায় চলে যায়। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। দিনভর প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলো নৌকায় চেপে পরিদর্শন করেন তাঁরা লাভপুরের বিডিও শিশুতোষ প্রামাণিককে সঙ্গে নিয়ে।
আরও পড়ুন-নজরে নিরাপত্তা, একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিল বারুইপুরের দুই হাসপাতাল
সভাধিপতি কাজল শেখ জানান, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। এই সময় মাঠে ধান লাগিয়ে তাঁরা ভাল ফলনের আশায় ছিলেন। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে সমস্ত জমি জলের তলায় চলে যাওয়ায় তাঁদের চরম লোকসান হল। তবে আমরা চাষিদের পাশে আছি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের পাশে যেভাবে সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাতে আমরা নিশ্চিত, লাভপুরের চাষিদের ক্ষতির খবর মুখ্যমন্ত্রীর কানে গেলেই তিনি তাঁদের জন্য সদর্থক ভূমিকা নেবেন। বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ বলেন, প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে করে দিনভর প্রায় ১২টি গ্রাম ঘুরেছি। কোনও গ্রামে মানুষ আটকে আছেন কিনা তা জানতে মাইকিং করেছি। গ্রামের ভেতর আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঠিবা ১ এবং ২, এই দুটি জায়গার প্রাথমিক স্কুলে প্রশাসনের তরফ থেকে শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা হয়েছে। খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। দেড়শো পরিবারকে উদ্ধার করা হয়েছে। অতিবৃষ্টির ফলে বিভিন্ন গ্রামে জল ঢুকে কয়েকশো মাটির বাড়ি ভেঙেছে। বলরামপুরে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন, সমস্যার কথা শোনেন বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষয়ক্ষতি যা হয়েছে তা খতিয়ে দেখে সকলের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে আছি। এখন প্রশাসনের মূল লক্ষ্য গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা। বিডিও শিশুতোষ প্রামাণিক জানান, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সর্বদা সমন্বয় রেখে আমরা কাজ করছি। যেখানে যেরকম সরকারি সাহায্য প্রয়োজন সবটার ব্যবস্থা আমরা করছি।