প্রতিবেদন : মালদহে প্রশাসনিক সভায় ১২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ২১১ কোটি ৫৪ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। ২ লক্ষ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে যাবে। মঞ্চে কয়েকজনকে এই পরিষেবা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মালদহে শিল্প নিয়ে আরও সজাগ হওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরামর্শ, মালদহে অনেক শিল্প হতে পারে, শিল্পপতিরা একটু মাথা খাটান। মালদহে শিল্পনগরী তৈরি হয়েছে।
এদিন মালদহে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) খতিয়ান দেন এই জেলায় কী কী উন্নয়ন হয়েছে সেই বিষয়ে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মালদহে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে আরও ২ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। মালদহে তৃণমূলের কোনও সাংসদ নেই। তবুও উন্নয়ন চলছে। রাজ্য নিজের উদ্যোগে প্রতিটি জেলাকে ঢেলে সাজিয়েছে। মালদহেও একের পর এক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। আরও হবে। এদিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১,২১১ কোটি ৫৪ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ১২৩টি জনকল্যাণকর প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন। ৭৬টি জনকল্যাণকর প্রকল্পের শুভ শিলান্যাস করেন। যার মধ্যে মালদহের চাঁচলে বিশেষ সংশোধনাগার, ১৩২/৩৩ কিলো ভোল্ট উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাস ইনসুলেটেড বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন, গাজোল স্টেডিয়াম, চাঁচলের বারমাইসার সেতু, ইংরেজবাজারের সমবায় গোষ্ঠী ট্রেনিং সেন্টার ও সমবায় ডাল ফ্যাক্টরি, যদুপুর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৯০ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মানিকচকের বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন তৈরি হয়েছে। ৩৫ কোটি ৩৯ লক্ষ খরচ করে চাঁচলে বিশেষ সংশোধনাগার হয়েছে। প্রশাসনিক প্রধান জানান, সল্টলেকে তিন কোটি টাকা খরচ করে মালদহ ভবন তৈরি হয়েছে। এখন মালদহ থেকে কেউ কলকাতায় গেলে মালদহ ভবনে থাকতে পারবেন। আদিবাসী ভবনেও থাকতে পারবেন, সংখ্যালঘু ভবন আছে সেখানেও থাকতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, পানীয় জল প্রকল্প, বিদ্যুৎ সাবস্টেশন, ভাঙন প্রতিরোধের কাজ, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাজ, স্বাস্থ্য প্রকল্প, ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প, কমিউনিটি হল প্রকল্প-সহ অনেক কাজ করা হয়েছে জেলা জুড়ে।