প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুগান্তকারী ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পকে নকল করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে গিয়ে একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা মোদি-সরকারের। ১০ বছরেই স্পষ্ট, জননেত্রীকে টেক্কা দিতে গিয়ে কেমন করে লোক ঠকিয়েছে কেন্দ্র। তথ্য বলছে, কন্যাশ্রী প্রকল্পে রাজ্য এ-পর্যন্ত খরচ করেছে মোট ১৬ হাজার কোটি টাকা। সেখানে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে সারা দেশের জন্য গেরুয়া-কেন্দ্র খরচ করেছে মাত্র ১,২৭০ কোটি টাকা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এর মধ্যে ৪০১ কোটি টাকাই খরচ করা হয়েছে বিজ্ঞাপনে!
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে বেটিদের কল্যাণের জন্য আর থাকলটা কী? এটা কি তা হলে লোকঠকানো প্রকল্প নয় মোদিজির? কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্পে গত ১০ বছরে উপকৃত হয়েছে বাংলার ৮১,১৮,৩৪৫ জন। সবচেয়ে বড় সাফল্য, এই সমাজকল্যাণ প্রকল্পের দৌলতে রাজ্যে স্কুলছুটের হার নেমে দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশেরও কম। আগে মাধ্যমিকস্তরে স্কুলছুটের হার ছিল ১৬.২৩ শতাংশ। ১০ বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১.৭৪ শতাংশে। উচ্চমাধ্যমিকস্তরে স্কুলছুটের হার ১৫.৪ শতাংশ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৭.০৮ শতাংশে।
আরও পড়ুন-শ্রী অরবিন্দ
দেখতে দেখতে কেটে গেল দশ-দশটা বছর। ২০১৩-তে এই ব্যতিক্রমী ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প যখন চালু হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে, তখন সামনে ছিল মূলত দু’টি লক্ষ্য, স্কুলছুটের প্রবণতা বন্ধ করা এবং বাল্যবিবাহ রোধ করা। দু’টি ক্ষেত্রেই মিলেছে প্রত্যাশিত সাফল্য। নারী ক্ষমতায়নের পথে অত্যন্ত তাৎপর্য ভূমিকা নিয়েছে এই প্রকল্প। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দৌলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প আজ বিশ্বের বিস্ময়।
আরও পড়ুন-চব্বিশে দিল্লিতে জাতীয় পতাকা তুলবেন ‘ইন্ডিয়া’র প্রধানমন্ত্রী
সামনের সোমবার রাজ্যের উদ্যোগে কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষে ধনধান্য অডিটোরিয়ামে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকাশ করবেন একটি তথ্যসমৃদ্ধ বইও। পুরস্কৃত করবেন কৃতী কন্যাশ্রীদের।