প্রতিবেদন : একধিক বার সতর্ক করা সত্ত্বেও অযথা রোগী রেফার করার কারণে এবার রাজ্যের একাধিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ওই সব হাসপাতালকে কড়া নোটিশ পাঠানো হয়েছে নবান্ন থেকে। জেলার হাসপাতাল সুপার ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোগী রেফার আটকাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রায় ৩ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে রেফার রোধে বিজ্ঞপ্তি জারি করার। তবু ১৩টি হাসপাতালে ৭ শতাংশের বেশি রোগী রেফার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-শীঘ্রই শিয়ালদহ থেকে মেট্রো
বিশেষ সমীক্ষায় ধরা পড়েছে এই পরিসংখ্যান। এই পরিসংখ্যানকে মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতর। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ হাসপাতাল, নৈহাটি মহকুমা হাসপাতাল, হাওড়ার বাউড়িয়ার ফোর্ট গ্লোস্টার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, পানিহাটি মহকুমা হাসপাতাল, বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা হাসপাতাল, মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমা হাসপাতাল, বাঁকুড়ার খাতরা মহকুমা হাসপাতাল, নদিয়ার কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতাল, জলপাইগুড়ির মাল মহকুমা হাসপাতাল, কার্শিয়াং মহকুমা হাসপাতাল, কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালকে তাই এবার নোটিস। আগেই রাজ্যের পক্ষ থেকে হাসপাতালগুলিকে জানানো হয়েছিল রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা করতে হবেই। একান্ত উপায় না থাকলে তবেই একমাত্র রেফার করা যাবে। যে হাসপাতালে রেফার করার সিদ্ধান্ত নেবে কোনও হাসপাতাল, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রেফারের আগেই যোগাযোগ করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন-জামিন লালুর
বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছিল কিছু নির্দেশিকা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নির্মল মাজি, স্বাস্থ্য দফতরের সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, নির্দেশক অজয় চক্রবর্তী, বালি বিধানসভার বিধায়ক রাণা চট্টোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর বিধানসভার বিধায়ক সুদীপ্ত রায় প্রমুখ। কমিটির আলোচনায় ঠিক করা হয়েছিল, অন্য হাসপাতাল বা সেই হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা না বলে কোনওভাবেই রোগীর পরিবারকে রেফার করা যাবে না। সেই সঙ্গে কড়া ভাবে ঠিক করা হয়েছে, কেউ সরকারি নির্দেশিকা না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে হাসপাতালে থাকার সময় নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া প্রাইভেট প্র্যাকটিসের নিয়মনীতি নিয়েও কথা হয়।