সংবাদদাতা, বারাসত : বিরোধীরা সন্দেশখালি নিয়ে কুৎসা করছে, পরিকল্পিতভাবে গন্ডগোল পাকিয়ে উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একের পর এক উন্নয়ন ও পরিষেবা দিয়ে চলেছে। সন্দেশখালির মানুষ যাতে সমস্ত পরিষেবা পায়, জমি ফেরত পায়, তার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। সন্দেশখালির আগুন পরিকল্পিতভাবে জ্বালিয়ে রাখা চেষ্টা হচ্ছে। আর সেই নির্দেশ আসছে দিল্লি থেকেই। নির্দেশ, প্রধানমন্ত্রী আসছেন ইস্যু জিইয়ে রাখো।
আরও পড়ুন-জনগর্জনের প্রচারে শুরু হল দেওয়াল লিখন
সেইমতোই বিরোধীদের উসকানিতে সোমবার ফের নতুন করে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে সন্দেশখালির বেড়মজুরে। বেড়মজুরে তৃণমূল নেতা হলধর আড়ির বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়, অগ্নিসংযোগ করা হয়। অন্যদিকে সন্দেশখালি ২ নম্বর বিডিও অফিস থেকে ক্যাম্প করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া শুরু হয় জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদীর উপস্থিতিতে। জেলা প্রশাসন সুত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ৬ দিন ব্যাপী ১২০০ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হবে। ১৩০ জনকে জমি ফেরত দেওয়া হয়েছে। গ্রামের মানুষদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করেই এই জমি ফেরত দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সন্দেশখালির দুটি ব্লকে নতুন করে আবেদনের ভিত্তিতে ৭২ জন মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়াও বার্ধক্য ভাতার জন্য সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকে ১৫ জন ও ২ নম্বর ব্লকে ৮ জন আবেদন করেছিলেন। তাঁদের অধিকাংশের নামই নথিভুক্ত হয়ে গেছে। এছাড়াও জলের কল, রাস্তা, মন্দির সংস্কার-সহ একাধিক উন্নয়নের কাজ চলছে। ধামাখালি ও সন্দেশখালির সংযোগকারী নদীপথ আরও সুগম করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কার্গো চলাচলের জন্য উন্নত জেটি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক বিশেষ প্রতিনিধি দল ধামাখালি ও সন্দেশখালি জেটি ঘুরে দেখেন। নেতৃত্বে ছিলেন দফতরের আধিকারিক অরূপকুমার দত্ত, অসিতকুমার দাস প্রমুখ। এদিকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে অজিত মাইতিকে সরানোর পর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয় রবিবার। তারপর সোমবার তাঁকে আদালতকে পেশ করা হলে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট মহাকুমা আদালত। শিবুপ্রসাদ হাজরাকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিকাশ সিং ও নিরাপদ সর্দারকে দেওয়া হয়েছে ২ দিনের জেল হেফাজত।