প্রতিবেদন : ফের বিজেপি-শাসিত ডাবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে আর্থিক দুর্নীতি। মহারাষ্ট্রে লড়কি বহিনা প্রকল্পে টাকা পাচ্ছেন পুরুষরা! এক-আধজন নয়, সরকারি তথ্য বলছে, সংখ্যাটা ১৪ হাজারেরও বেশি! বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-কে নকল করে গত বছর থেকে মহারাষ্ট্রে চালু হয়েছিল এই লড়কি বহিনা প্রকল্প। কিন্তু যা অবস্থা, এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল মহারাষ্ট্র সরকারের এই প্রকল্প। এই নিয়ে এদিন তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, মহারাষ্ট্র থেকে ভয়ংকর এক কেলেঙ্কারির খবর সামনে এসেছে। আমাদের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রীর মতো সব বয়সের মহিলাদের জন্য নানা প্রকল্প এনেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এখানে প্রকল্পগুলি চালু করেন, তখন এরা বিরোধিতা করে।
আরও পড়ুন-অসম গেটে ধিক্কারসভায় উত্তম-নিশিকান্ত
আর নিজেদের রাজ্যে চুপচাপ সেইসব প্রকল্প নকল করে চালু করে দিচ্ছে! এবার নকল করতে গিয়ে বড় কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। ভয়ংকর ঘটনা। ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে। ওখানে দেখা যাচ্ছে, কারচুপি করে ১৪,২৯৮ জন পুরুষ ২১ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে গিয়েছে। তাহলে ওখানে সিবিআই হবে না, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম যাবে না, মহিলা কমিশনই বা কোথায়? এই প্রকল্পে ২১ থেকে ৬৫ বছর বয়সি মহিলাদের যাঁদের পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার কম, তাঁদের প্রতি মাসে ১,৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সরকারি নিয়মের ফাঁক গলে জালিয়াতি করে প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পুরুষরা! মহারাষ্ট্রে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা মহিলাদের জন্য তৈরি এই প্রকল্পের আওতায় ১৪,০০০-এরও বেশি পুরুষ জালিয়াতি করে এই ভাতা পেয়েছেন বলে স্বীকার করে নিয়েছে খোদ সরকারও। নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, ১৪,২৯৮ জন পুরুষকে ২১.৪৪ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে— যাঁরা অনলাইনে জালিয়াতি করে নিজেদের মহিলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছিলেন। প্রকল্পটি চালু হওয়ার প্রায় ১০ মাস পরে এই প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। দরিদ্র মহিলাদের সাহায্য করার জন্য লড়কি বহিনা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। পুরুষদের এর সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। তাদের দেওয়া টাকা উদ্ধার করবে প্রশাসন। এমনই বলেছেন রাজ্য সরকারের এক শীর্ষকর্তা।