প্রতিবেদন : মর্মান্তিক, লজ্জাজনক ঘটনা! পৃথিবীর আলো ভালভাবে দেখে ওঠার সুযোগ আর হল না। তার আগেই পুড়ে মরতে হল ১০ সদ্যোজাতকে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্যের ঝাঁসিতে মহারানি লক্ষ্মীবাই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
আরও পড়ুন-ধোঁয়ার চাদরে ঢাকা রাজধানী, স্কুল-কলেজে ফিরছে মাস্ক
শুক্রবার রাতে আচমকাই আগুন লেগে যায় হাসপাতালে শিশুদের আইসিইউতে। নিমেষের মধ্যে গোটা ইউনিট চলে যায় আগুনের গ্রাসে। ভরে যায় কালো ধোঁয়ায়। প্রাণ হারায় ইনকিউবেটরে রাখা ১০ নবজাতক। গুরুতর জখম অন্তত ১৫ জন। কোনওরকমে উদ্ধার করা সম্ভব হয় ৩৭ জনকে। এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যোগী সরকারের অপদার্থতার আরও একটি দিক। ঝাঁসির হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১০ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ করেছেন গভীর উদ্বেগও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি সন্তানহারা পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রকাশ করেছেন সমানুভূতিও। তাঁর কথায়, ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাই মেডিক্যাল কলেজের হৃদয়বিদায়ক ঘটনায় আমি গভীর শোকাহত। এনআইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছে ১০ নবজাতক। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার দাবি জানাচ্ছি। সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের অভিযোগ, আগুন লাগার কারণ নিম্নমানের অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। এর নেপথ্যে রয়েছে চরম গাফিলতি।
আরও পড়ুন-৪৩ লক্ষের কর্মসংস্থান কর্মশ্রী প্রকল্পে
এই দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে আগুন লাগার কারণ শট সার্কিট। প্রথমে শিশুদের এনআইসিইউতে দরজার কাছে থাকা নবজাতকদের উদ্ধার করা হয়। ৩৭ জনকে কোনওরকমে বের করা সম্ভব হয়। কিন্তু ততক্ষণে আগুন এবং ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ নবজাতকের। তদন্তে বেশ কয়েকটি গুরুতর ত্রুটির দিক উঠে এসেছে। প্রথমত, হাসপাতালের বৈদ্যুতিক তার অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। কোনও ফায়ার অ্যালার্ম ছিল না। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মানও অত্যন্ত খারাপ এবং কিছুক্ষেত্রে শেষ হয়ে গিয়েছিল মেয়াদও। প্রশ্নটা হচ্ছে, এত গুরুতর ত্রুটিগুলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গেল কীভাবে? যোগীপ্রশাসন কি ঘুমোচ্ছিল? সদুত্তর দিতে পারেননি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী।