সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় ধসের আশঙ্কা বিজেপিতে। দল ছাড়ছেন ১৫০০ বিজেপি কর্মী। উন্নয়নের সাক্ষী হতে তাঁরা যোগ দিতে চান তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC)। ইতিমধ্যেই আবেদন জমা পড়েছে শিলিগুড়ি সমতলের তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের কাছে। তবে নির্বাচনের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাপিয়া ঘোষ জানিয়েছেন, যোগদানের তালিকায় দার্জিলিং জেলার বিজেপি নেতৃত্ব সহ ভিন্ন রাজনৈতিক দলের হাই প্রোফাইলদের নাম আছে। তবে জেলা নেতৃত্বের চূড়ান্ত ঝাড়াই-বাছাই করে রিপোর্ট কার্ড স্বচ্ছ হলেই যোগদান করানো হবে। অস্তাচলে যাওয়া বাম-বিজেপি নৌকায় শিলিগুড়িতে সওয়ার বিজেপিও। নিজ বিধায়ক এলাকায় জনসমর্থনশূন্য ভাজপার ঝান্ডা ধরার কর্মী-সমর্থকও নেই। তার ওপর দলের ঊর্ধ্বে শিলিগুড়িতে গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার পদ্ম ঘর। গোষ্ঠী কোন্দলের প্রভাব এতটাই প্রকট যে জেলা সভাপতি ও শিলিগুড়ি বিধায়কের কর্মসূচিতে দেখা মেলে না অন্য বিধায়ক তথা পুরনো গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের। হাতে গোনা কর্মীদের নিয়েই চলে কর্মসূচি। অন্যদিকে কংগ্রেসেরও শিলিগুড়িতে অস্তিত্ব প্রায় মুছে গিয়েছে। ভরাডুবির পরবর্তীতে সম্প্রতি প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি সমাবেশের নামে শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংয়ে এসে দলের অস্তিত্বরক্ষায় সামান্য অক্সিজেন সঞ্চারের চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। পাহাড়ে বিনয় তামাংকে দলে টেনেও কোনও সাড়া মেলেনি পাহাড়ের জনগণের মাঝে। সম্প্রতি ৪০০০ হাজার পরিবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করে শিলিগুড়িতে। আর এবারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের কয়েক হাজার আবেদনপত্রের আর্জি জমা পড়েছে জেলা নেতৃত্বের কাছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিন দিন সামনে আসছে বিজেপির গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব। লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সভাতেও নবীন-প্রবীণদের লড়াই সামনে এসেছে। দলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দিন দিন মাথাচাড়া দিচ্ছে, তাই দল ভাঙছে।
আরও পড়ুন- বহিরাগতদের এনে ভিড় দেখানোর চেষ্টা, ব্যর্থ বঙ্গ বিজেপি! শাহের ফ্লপ শো ধর্মতলায়