প্রতিবেদন : সবকিছুতেই বাংলাকে (WEST BENGAL_ROAD) বঞ্চনা এখন কেন্দ্রের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে সড়ক যোজনা, সবেতেই বাংলার টাকা বন্ধ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিকবার বঞ্চনার অভিযোগে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেন্দ্র নির্বাক। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই বঞ্চনার জবাব উন্নয়ন দিয়েই দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তিনি গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়নে শুরু করেছেন ‘পথশ্রী’ প্রকল্প। এই প্রকল্পে সাড়ে ১৫ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গ্রামীণ রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য (WEST BENGAL_ROAD)। বরাদ্দ করা হয়েছে সাত হাজার কোটি টাকা। গতবারের তুলনায় এবার বরাদ্দ দ্বিগুণ। টার্গেট নেওয়া হয়েছে আগামী এপ্রিলের মধ্যেই কাজ শেষ করার।
এই মর্মে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দু’দফা বৈঠকও করে ফেলেছেন পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকেরা। সোমবার ও মঙ্গলবার পোর্টাল সংক্রান্ত বৈঠকের পর প্রকল্প শুরু করার জন্য এখন ওয়ার্ক অর্ডারের অপেক্ষা। ডিসেম্বরের মধ্যেই ওয়াক অর্ডার হয়ে যাবে। কেন্দ্রের উদাসিনতার কারণে ২০২০ সালে পথশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর পথশ্রী ১, ২ ও ৩ প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার গ্রামকে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে ৩৯,৫০০ কিলোমিটারের বেশি গ্রামীণ রাস্তা তৈরি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। এর পরবর্তী পর্যায়ে ‘পথশ্রী-রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের অধীনে নতুন কাজ চলছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে ৩,৩০০ কিমি রাস্তার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এবার লক্ষ্য ১৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ।
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা ৩-এর অধীন বাংলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল মোট ৬,২৫৫ কিমি রাস্তার। এর মধ্যে এখনও প্রায় ২,০১৯ কিমির অনুমোদনই দেয়নি কেন্দ্র। ৪,২৩৬ কিমি রাস্তার অনুমোদন দিলেন তাঁর প্রায় অর্ধেক টাকা এখনও বকেয়া। ওই ৪২৩৬ কিমি রাস্তার মোট ব্যয় বরাদ্দ ছিল ২,৫০০ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে এক হাজার কোটি বকেয়া পড়ে রয়েছে। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এ-প্রসঙ্গে বলেন, কেন্দ্রের বঞ্চনা উপেক্ষা করেই গ্রামোন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মোতাবেক রাজ্যের কোষাগার থেকেই রাস্তা সম্প্রসারণ ও সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-রাজীব কুমারের আগাম জামিন মামলায় সুপ্রিম-ধাক্কা সিবিআইয়ের