সঞ্জিত গোস্বামী, পুরুলিয়া: জিতাষ্টমী পেরোতেই প্রথা মেনে কাশীপুর রাজ পরিবারে রবিবার থেকে শুরু হয়ে গেল ১৬ দিনের দুর্গাপুজো। চলবে বিজয়া দশমী অবধি। আগের মত পুজোয় তেমন জলুস আর না থাকলেও ঐতিহ্যবাহী এই পুজো দেখতে এখনও ভিড় হয় মন্দিরে। রাজ পরিবারের সদস্যরাও হাজির থাকেন মন্দির চত্বরে।
আরও পড়ুন-গ্রামবাসীদের বাধার মুখে সুকান্ত, ৫ জনের অনুমতি
পরিবারের অন্যতম সদস্য সোমেশ্বর লাল সিংহদেও জানান, পঞ্চকোট রাজা জঙ্গলমহলে এসে রাজত্ব স্থাপন করার পর থেকেই রাজবাড়িতে দেবী রাজরাজেশ্বরীর পুজো হত। দেবী ছিলেন চতুর্ভুজা। দশভুজা দু্র্গার পুজো চালু হয় বল্লাল সেনের আমল থেকে। বল্লাল সেনের কন্যা সাধনার সঙ্গে বিয়ে হয় পঞ্চকোটরাজ কল্যাণপ্রসাদের। সাধনার উপাস্য দেবী ছিলেন শ্যামাবুড়ি। সেই শ্যামাবুড়িকে নিয়েই তিনি স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন। পথে পশ্চিম বর্ধমানের অধুনা কল্যাণেশ্বরীতে এসে দেবী সেখানে থেকে যান। রাজা-রানি দেবীর উপবাস শুরু করলে তিনি রাজাকে স্বপ্নাদেশ দিয়ে বলেন, রাজার নামানুসারে তাঁর নাম হবে কল্যাণেশ্বরী। বাড়ি গিয়ে দশভুজা দু্র্গার পুজো করো। আমি প্রতি বছর অষ্টমীতে মন্দিরে পুজো নিতে যাব। আমি যে মন্দিরে গিয়েছি, জানান দিতে পায়ের ছাপ রেখে আসব। পুজোয় আরও একটি বিশেষত্ব হল, এখানে দেবীর সঙ্গে তাঁর দুই সখী জয়া ও বিজয়াও থাকেন। অন্য কোথাও দুর্গাপ্রতিমার সঙ্গে এই দুই সখীকে দেখা যায় না।