প্রতিবেদন : অভিনব উদ্যোগ। রাজ্যে উৎপাদিত টম্যাটো ব্যবহার করে কৃষি বিভাগের ১৭টি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে পিউরি (Tomato puree centers) তৈরি করা হবে। তারপর তা ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে সুফল বাংলা বিপণি থেকে। এর ফলে উপকৃত হবেন চাষিরাও। কারণ, তাঁরা উৎপাদিত ফসলের লাভজনক দাম পাবেন। কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন, বাংলায় শীতকালে প্রচুর টম্যাটো উৎপাদন হয়। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণের পর উদ্বৃত্ত টম্যাটো সরাসরি সংরক্ষণ করা যায় না। তাই ঠিক হয়েছে, আগামী রবি মরশুম থেকে উদ্বৃত্ত টম্যাটো থেকে পিউরি তৈরি করবে কৃষি বিপণন বিভাগ। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দুর্গাপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, সিউড়ি, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বারাসত, হাওড়া, চুঁচুড়া, বারুইপুর এবং কলকাতার সব্জি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে পিউরি তৈরি করা হবে। পাশাপাশি, নেতাজি সুভাষ কৃষি বিপণন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গুণমান যাচাই করা হবে। রাজ্যে বর্তমানে স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ প্রায় ৫০০টি সুফল বাংলা বিপণি রয়েছে। এসব কেন্দ্র থেকে এবার সব্জি, ফল, চাল, ডাল, ঘি, মধু, জ্যাম, জেলি, স্কোয়াশ ইত্যাদির পাশাপাশি টম্যাটো পিউরিও বিক্রি করা হবে। পাইলট প্রকল্প সফল হলে পরবর্তীকালে এই উদ্যোগের সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। জুলাইতে টম্যাটোর দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। স্যালাড তো দূরের কথা, ঘরোয়া রান্নায় স্বাদ-রঙে উৎকর্ষ আনতে সামান্য টম্যাটো (Tomato puree centers) দিতে গিয়েও পিছিয়ে আসতে হয়েছে মানুষকে। আগামিদিনে রাজ্যবাসীকে যাতে এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়, তাই এই পদক্ষেপ করল রাজ্য।