প্রতিবেদন : প্রভিডেন্ট ফান্ড(পিএফ) হল আমজনতার জীবনের শেষ বয়সের সম্বল। এবার তার সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ কারণ কয়েকশো কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাছে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে প্রায় ১ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে যা বহু বছর ধরে তা অনাদায়ী থেকে গিয়েছে। আদালতে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষের জীবনের সঞ্চয় আদৌ সুরক্ষিত কি না সেই প্রশ্নে ভীত বাজার।
আরও পড়ুন-বহিষ্কৃত কুন্তল-শান্তনু, দলের নীতি স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল
গূঢ় বিষয় নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন তাঁদের বক্তব্য, এই অবস্থা চলতে থাকলে এবং পরিস্থিতির বদল না হলে ইপিএফে(এমপ্লয়িজ প্রফিডেন্ট ফান্ড) বিপর্যয় অনিবার্য। যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব এরকম বহু রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাছে বকেয়া রয়েছে ইপিএফের৷ দেখা যাচ্ছে যোগীরাজ্যে ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশন বন্ডে প্রায় ২৫ কোটি টাকা লগ্নি করলেও এক টাকাও এখনও ফেরত আসেনি ইপিএফের ঘরে। আইএল অ্যান্ড এফএসের কাছে পাওনা রয়েছে ৩৮৪ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। ডিএএফএল-এর কাছে বকেয়া ৭৭৩ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন-আবাসে এক টাকাও পেল না বাংলা!
রিলায়েন্স ক্যাপিটাল থেকে পাওনা ৩ লক্ষ টাকা। এছাড়াও এদের সকলের সুদ বকেয়া রয়েছে। এর বাইরেও একাধিক সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে পাওনা রয়েছে আরও বেশ কয়েক কোটি টাকা। এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে একাধিকবার আদালতে মামলা করে বকেয়া আদায়ের পথে গিয়েও কাজের কাজ খুব একটা কিছু হয়নি। ফলে এই বিশাল অঙ্কের টাকা বাজারে অনাদায়ী হিসেবে পড়ে থাকায় মাথায় হাত ইপিএএফ কর্তৃপক্ষের। মরিয়া হয়ে এখন টাকা উদ্ধারের পথ খুঁজছে তারা।