দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনের মৃত্যু

দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) মুয়ান বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিনের দুর্ঘটনায় দু’জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

Must read

দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) মুয়ান বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিনের দুর্ঘটনায় দু’জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। দু’জনেই বিমানকর্মী। কিন্তু কী ভাবে এত মানুষের মৃত্যু হল বা ঠিক কী ঘটেছিল মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে সেই বিষয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। বলা হচ্ছে অনেক যাত্রী আতঙ্কে বিমান থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। ছিটকে নীচে পড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া বিমানে আগুন লেগে যাওয়ার ফলে অনেকের ঝলসে মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশে ১৪০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যাওয়া দশ বছরের শিশু উদ্ধার

জানা গিয়েছে, বিমানটি অবতরণের সময়ে তার চাকা খোলেনি। ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা দেখা দিয়েছিল আর তার ফলেই পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান। রানওয়ে ছুঁলেও বিমান দাঁড় করাতে পারেন নি তিনি। সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে বিমানটি রানওয়ের উপর দিয়ে ঘষে এগোচ্ছে কিন্তু দাঁড় করানো সম্ভব হচ্ছে না। এরপরেই বিমানবন্দরের পাঁচিলে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে বিমানটি। পরের মুহূর্তে সেটাতে আগুন ধরে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান বিমানটির অবতরণের সময়ে সমস্যা হচ্ছে বুঝে ভিতরের যাত্রীরা জানলা দিয়ে অনেকে আতঙ্কে আপৎকালীন দরজা থেকে নীচে ঝাঁপ দেন। পড়ে গিয়ে বিমানে চাপা পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিমানে আগুন ধরে যাওয়ার পর অনেকের ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ।

আরও পড়ুন-মন্দির-মসজিদ বিবাদের সুবাদে কেউ আবার নেতা হয়ে যাবেন না

দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারের বিমানটি ব্যাঙ্কক থেকে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছ’জন বিমানকর্মী নিয়ে ফিরছিল। মুয়ান শহরে অবতরণের সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে। ১৮১ জনের মধ্যে ১৭৯ জনেরই মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান রাশিয়ার দিকে যাওয়ার পথে কাজ়াখস্তানের উপর ভেঙে পড়ে। পাইলট জরুরি অবতরণের চেষ্টা করলেও বিমান তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। বিমানে ৬৭ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের একবার বিমান দুর্ঘটনা রীতিমত আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

Latest article