ফেল-ওষুধে রাজ্যের ১৮ নির্দেশিকা

এর মধ্যে এ-রাজ্যের একাধিক সংস্থার ওষুধও রয়েছে। বাজার থেকে এইসব ওষুধের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা চালায় কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা

Must read

প্রতিবেদন : ড্রাগ কন্ট্রোলের বাতিল করা ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করতে ১২ দফা নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। চলতি বছরের প্রথম দু-মাসে দেশের বিভিন্ন সংস্থার তৈরি প্রায় তিনশো ওষুধ কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের গুণমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এর মধ্যে এ-রাজ্যের একাধিক সংস্থার ওষুধও রয়েছে। বাজার থেকে এইসব ওষুধের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা চালায় কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরীক্ষার পর সেগুলিকে ‘নট ফর স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগস’ ঘোষণা করা হয়েছে। অনুত্তীর্ণ ওষুধের তালিকায় নামী সংস্থার বহুল প্রচলিত ব্র্যান্ডের একাধিক ওষুধ রয়েছে বলে রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে। যে কারণে চিকিত্সক সমাজের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও উদ্বেগ ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের হোলসেলার ও খুচরো ওষুধ ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তারা এই ‘ফেল’-করা ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে। যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। এই মর্মে সরকারি হাসপাতাল, ওষুধের পাইকারি বিক্রেতা ও ডিস্ট্রিবিউটরদের নির্দেশিকা দিতে হবে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলকে।

আরও পড়ুন-ভুয়ো ভোটার : তিনমাসের মধ্যে সংশোধন, তৃণমূলের পাশে বিরোধীরাও এককাট্টা, নেত্রীর চাপে ভুল স্বীকার কমিশনের

সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর, যেখান থেকে সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করা হয়, সেখান থেকেও সরিয়ে ফেলতে হবে এইসব ওষুধ।
সব জেলা, মহকুমা ও ব্লকের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এই ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দিতে হবে। খুচরো ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট ব্যাচের ওষুধ কেনাবেচা ও ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিতে হবে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলকে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল থেকে শুরু করে দোকানেও সর্বসমক্ষে ঝোলাতে হবে ‘ফেল-করা’ ওষুধের তালিকা। এছাড়া এই তালিকা রাখতে হবে স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটেও।
কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের গুণমান পরীক্ষায় এইসব লালকালির দাগ পাওয়া ওষুধ খেলে প্রভাব হতে পারে ভয়ঙ্কর। তাই এসব ফেল-করা ওষুধ যাতে ব্যবহার না হয়, তার উপর নজরদারি চালাতে, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দোকানে দোকানে সারপ্রাইজ ভিজিট করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের ডিরেক্টরকে। কোথাও বাতিল ওষুধের বিক্রি, ব্যবহার হলে, বা ফেল-করা ওষুধের তালিকা না ঝোলানো হলে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এমনকী বাতিল করা হতে পারে লাইসেন্সও। রাজ্যের যে সমস্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি ওষুধ ফেলের তালিকায় রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেও নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব।

Latest article