সুমন তালুকদার, বারাসত : রাস্তার চারপাশে চাপ চাপ রক্ত। ব্যস্ত এলাকা থমথমে। যেন শ্মশানের স্তব্ধতা। শনিবার গভীর রাতে মৃতদেহ সৎকারের কাজে যাওয়া ম্যাটাডরের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা এক লরির ধাক্কার এই শব্দ যেন এখনও কানে বাজছে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা জখমদের কানে। সামান্য জ্ঞান ফিরলেই কেউ বিড়বিড় করে বলছেন সব শেষ! ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। দুর্ঘটনায় চলে গিয়েছে একই পরিবারের ১২ জনের প্রাণ। মৃতদের মধ্যে রয়েছে একটি বছর পাঁচেকের শিশুও।
আরও পড়ুন-বিএসএফের মদতে দুষ্কৃতীরা চালায় লুঠপাট
গুরুতর ৭ জন। এঁদের মধ্যে বাগদার পারমদনপুর এলাকার স্বপন মুহুরি ও অর্চনা মুহুরির অবস্থা আশঙ্কাজনক। কলকাতা এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
বাগদার পারমদনপুর এলাকায় চারিদিকে হাহাকার। প্রতি মূহূর্তে আসছে মৃত্যুর খবর। রবিবার গ্রামের কারও বাড়িতে হাঁড়ি চড়েনি। এক বৃদ্ধার শব দাহ করতে গিয়ে এমন ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটবে তা কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি।
আরও পড়ুন-বিএসএফের মদতে দুষ্কৃতীরা চালায় লুঠপাট
প্রতিটি বাড়ি থেকে ভেসে আসছে কান্নার রোল। দিনের আলোতেও যেন অমাবস্যার অন্ধকার। কাঁদতে কাঁদতে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন মৃত শিশু অনন্যা মাহুরির এক আত্মীয়া। একটি মৃতদেহ গিয়েছিল গ্রাম থেকে। ফিরবে না ১৯ জন। এখনও ভাবতে পারছেন না বাসিন্দারা।