প্রতিবেদন : মুম্বইয়ের কুরলায় বাড়ি ভেঙে প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ১৯ জন। ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৪ জন। সোমবার মাঝরাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে পূর্ব কুরলার নায়েক নগরে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধংসস্তূপের নিচ থেকে ৩২ জনকে উদ্ধার করে। পরে উদ্ধারকাজে হাত লাগায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে রাজাওয়াড়ি সরকারি হাসপাতালে এবং কয়েকজনকে সিয়ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালেই ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। এদিন সন্ধ্যায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের সকলের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
আরও পড়ুন-ইউক্রেনের শপিংমলে রুশ হামলা, মৃত ১৯
বৃহন্মুম্বই পুরসভার কমিশনার ইকবার এস চাহাল জানিয়েছেন, বাড়িটি বিপজ্জনক বলে আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও বাসিন্দারা ওই বাড়ি ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন। ২০১৩ সালে প্রথমবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার গভীর রাতে নায়েক নগর এলাকার ওই চারতলা বাড়িটি ভেঙে পড়ে। এলাকার মানুষই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলকে। প্রথমে ৮ জনকে ওই ভাঙা বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন-বন্যার জল খাচ্ছেন অসমের দুর্গতরা, হিমন্ত ব্যস্ত দল ভাঙাতে
পরে আরও বেশ কয়েকজনকে। যদিও এই খবর লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি, ধ্বংসস্তূপের তলায় আর কতজন আটকে আছেন। পুলিশের আশঙ্কা, এখনও বেশ কয়েকজন মানুষ আটকে রয়েছেন। বিএমসির কমিশনার আরও জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সকলকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। গুরুতর জখম চারজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।