সোমবার রাতে ভয়াবহ ঘটনা ইন্দোরে (Indore)। বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের, আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। এদিন রাতে ইন্দোরের জওহর মার্গে প্রেমসুখ টকিজের পিছনে একটি তিনতলা বাড়ি হঠাৎ করেই ধসে যায়। বাড়ি চাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয় এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর এদিনের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আলিফা এবং ফাহিম নামের দু’জনের। আহতদের উদ্ধার করে মহারাজা যশবন্ত রাও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাত ৯টা নাগাদ একটি তিনতলা বাড়ি হঠাৎ ধসে পড়ে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ধ্বংসস্তূপের নিচে ১৩ জন আটকা পড়েছেন। বাড়িটি যথাযথ বিম এবং কলাম ছাড়াই তৈরি করা হয়েছিল বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, বাড়ির চারপাশে ক্রমাগত জল জমে থাকার কারণেই এই ধস নেমেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-নিজের গানের মাধ্যমে দ্বিতীয়া উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলা কালেক্টর শিবম ভার্মা। তিনি জানিয়েছেন ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। আরও একটি শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে নিরাপদে আছে। তাই ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন মহিলার পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় পৌর কর্পোরেশন, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর (SDERF) এবং সিভিল ডিফেন্সের যৌথ দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। ধ্বংসাবশেষ সরাতে জেসিবি সহ ভারী যন্ত্র আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বৃষ্টিতে ব্যাহত হাওড়া-শিয়ালদহ ডিভিশনের রেল পরিষেবা
পুলিশ কমিশনার সন্তোষ কুমার সিং, জেলা কালেক্টর শিবম ভার্মা এবং পৌর কমিশনার হর্ষিকা সিং রাতভর ঘটনাস্থলে ছিলেন। আগেও ইন্দোরের জওহর মার্গে প্রেমসুখ টকিজের পিছনে একটি দোতলা বাড়ি ধসে পড়ার ঘটনায় দুই শিশু এবং আটজন প্রাপ্তবয়স্ক সহ কমপক্ষে দশজন আহত হন। সোমবারের ঘটনায় বাড়িটির নিচতলায় দোকান এবং উপরে আবাসিক কোয়ার্টার ছিল। বাড়িটির প্রায় ৪০-৪৫% অংশ ধসে পড়েছে। আরও লোক চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। তল্লাশি অভিযান চলছে বলেই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। বাড়িটি আনুমানিক আট বছরের পুরনো বলে জানা গিয়েছে এবং আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে নিয়ম না মেনেই এভাবে বাড়ি তৈরী হতে পারে।