প্রতিবেদন : বাংলাদেশে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ‘জয় বাংলা’ (Joy Bangla) আর স্বীকৃতি পাবে না। জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষ আদালত। তারপরেও ‘জয় বাংলা’ বলার দায়ে বাংলাদেশে প্রাণ দিতে হল আওয়ামি লিগের দুই ছাত্রনেতাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্র লিগের দুই নেতা মহম্মদ মাসুদ রানা এবং মহম্মদ রায়হান দেওয়ালে জয় বাংলা স্লোগান লিখেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার এই স্লোগান লেখার ‘অপরাধে’ প্রকাশ্যে তাঁদের কুপিয়ে খুন করল একদল মৌলবাদী দুষ্কৃতী। বাধা দিতে গিয়ে আরও চারজন আহতও হন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলতে রাজাকার আর পাক মদতদাতাদের দাপাদাপি আজকের বাংলাদেশে কোন পর্যায়ে গিয়েছে, এই খুনের ঘটনাই তা দেখিয়ে দিল।
আরও পড়ুন- অভিষেকের প্রশ্নে কেন্দ্রের স্বীকারোক্তি স্পষ্ট হল বাংলার প্রতি নির্লজ্জ বঞ্চনা
আওয়ামি লিগের অভিযোগ, জামায়াত ইসলামির ছাত্র শাখা ছাত্র শিবির ও বিএনপি কর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লাগাতার ভারতের বিরুদ্ধে হাস্যকর হুমকি দিয়ে হম্বিতম্বি করছে দেশের এক কট্টরপন্থী ছাত্র নেতা। তাঁর বেলায় কোনও দোষ দেখছে না প্রশাসন! উল্টে অবাধে ভারত-বিরোধী জিগির তুলতে প্রশ্রয় দিচ্ছে ইউনুস প্রশাসন। মুখে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদতে মৌলবাদীদের আস্ফালনে পা মেলাচ্ছে ইউনুস সরকার। ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মনোভাবে জামাত, বিএনপির সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ করলেই যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। অভ্যন্তরীণ বিষয়ের নামে আসলে সংখ্যালঘুদের নির্মূল করাই যে ইউনুস প্রশাসনের মূল উদ্দেশ্য, সেটা দেখিয়ে দিচ্ছে এসব অরাজকতার দৃশ্য।
এদিকে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পালাবদলের পরে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্য বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে ইউনুস সরকার। পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসার নিয়ম সহজ করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানও বাংলাদেশি নাগরিকদের আরও বেশি সংখ্যায় ভিসা দেবে বলে জানিয়েছে।