উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার ইসলামপুর ব্লকের মাদারীপুর এলাকায় বাপি রায় ও মোহাম্মদ সাজ্জাদ দুই তৃণমূল নেতা (Trinamool Congress) মাদারীপুরের একটি হোটেলে ছিল।।হঠাৎ করেই নয় থেকে দশ জনের এক দুষ্কৃতীর দল তাদের এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাদের ওপর গুলি চালায়। দুজনকেই ইসলামপুর মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাপি রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় মোহাম্মদ সাজ্জাদকে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন-২ জেলায় ভারী বৃষ্টি রবিবার, পরিবর্তনের আভাস সোম থেকে
মাদারীপুর এলাকার একটি লাইন হোটেলে তারা বসে গল্প করছিলেন। সেই সময় একটি সশস্ত্র দল ওই হোটেলে হামলা চালায়। তারা এলোপাথারি গুলি করে। গুলি বাপি রায়ের গলায় বুকে লাগে। আততায়ীদের মুখ ঢাকা ছিল না। এলোপাথাড়ি গুলি করে তারা গাড়ি করে চম্পট দেয় নিমেষের মধ্যেই। খুব দ্রুত তাদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাজ্জাদ জানান, যারা গুলি করেছিল তাদের মুখ খোলা থাকা সত্ত্বেও তাদের চেনা যায়নি। তাদের বহিরাগত বলেই মনে করা হচ্ছে। মহম্মদ সাজ্জাদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
আরও পড়ুন-কোলের সন্তানকে আছাড় মেরে খুন করে আত্মঘাতী বাবা
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল, তৃণমূল ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, ”আমাদের মনে হচ্ছে শুটাররা ভাড়া করা। কী কারনে আমাদের ওই দুই কর্মীকে গুলি করা হল তা এখনই স্পষ্ট নয়। ওই হোটেলে সিসিটিভি রয়েছে। তার ফুটেজ দেখলে স্পষ্ট হয়ে যাবে। পুলিশকে বলেছি দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। এলাকার শান্তি বজায় রাখতে যা যা করা প্রয়োজন সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন-সংবিধান মেনে শপথ হবে
ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেন্ডুপ শেরপা এই পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ঘটনাস্থলে গুলি চলে। গুলিতে একজন মারা গেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করছি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে যারা তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।