কর্নাটকে এবার ২০টি ময়ূরের দেহ উদ্ধার

সম্প্রতি মালাই মহাদেবেশ্বর হিলস ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারিতে হুগ্যম রেঞ্জের মীনিয়ম অরণ্যাঞ্চলে একটি বাঘিনী ও তার চার শাবককে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল

Must read

বাঁদর, বাঘ, এরপর ময়ূর, পর পর এভাবে বন্যপ্রাণীর রহস্যমৃত্যুতে কর্নাটকে (Karnataka) তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কর্ণাটকের হনুমান্থপুরা গ্রামে এবার মৃত অবস্থায় উদ্ধার হল ২০টি ময়ূর। ক্ষেতের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ছিল পাখিগুলির দেহ যার মধ্যে ৩টি পুরুষ ময়ূর এবং ১৭টি ময়ূরী। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল তাঁদের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বন দফতরের আধিকারিকরা। পুরো এলাকা ঘুরে দেখে বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত ময়ূরগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত কিছু বলা যাবে না।

আরও পড়ুন-দিল্লিতে মর্নিংওয়াকের সময় মহিলা সাংসদের গলার চেন ছিনতাই! চিঠি শাহকে

গত ২ জুলাই, চামরাজনগর জেলায় একসঙ্গে ২০টি বানরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে বানরগুলোকে বিষ খাইয়ে মারা হয়েছে। কে বা কারা, কেন এই কাজ করল সেটা এখনও জানা যায়নি। সম্প্রতি মালাই মহাদেবেশ্বর হিলস ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারিতে হুগ্যম রেঞ্জের মীনিয়ম অরণ্যাঞ্চলে একটি বাঘিনী ও তার চার শাবককে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, বাঘিনীটি একটি গরু মেরে তার মাংস খেয়েছিল। সেই গরুর মাংসে বিষ থাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরাই গরুর মৃতদেহে বিষ মিশিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এভাবে পরপর পশুর মৃত্যুতে পরিবেশপ্রেমী মহলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। গ্রামবাসীদের সচেতন না করলে এই মৃত্যুমিছিল চলবেই বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট দফতর। তবে এবার বন দফতরের নজরদারিও আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।

Latest article