প্রতিবেদন: ট্রাম্পের নীতির ভুল তুলে ধরে দূরত্ব বাড়িয়েছেন এলন মাস্ক। শুল্ক নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন টেসলা কর্তা। এবার মার্কিন রাষ্ট্রপতির বহু চর্চিত অভিবাসন নীতির বিরোধিতা করে বিক্ষোভে উত্তাল ক্যানিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলস। লস এঞ্জেলসের (Los Angeles) মেয়র নিজে অভিবাসন নীতির বিরোধিতা করায় ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশের উপর আর ভরসা করতে পারছেন না ট্রাম্প। পরিস্থিতি সামলাতে তাই লস এঞ্জেলসে সেনা নামালেন ট্রাম্প।
নতুন অভিবাসন নীতির বাস্তবায়নে লস এঞ্জেলসে (Los Angeles) ব্যাপক তল্লাশি শুরু হতেই আশঙ্কায় পড়ে যান লস এঞ্জেলসের অভিবাসীরা। মেয়র ক্যারেন বাস লস এঞ্জেলসকে গর্বিত অভিবাসীদের শহর দাবি করে অভিবাসন নীতির বিরোধিতাও করেন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। তল্লাশির জেরে লস এঞ্জেলসের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বিক্ষোভ। বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন প্রতিবাদীরা। অনেক জায়গায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগও করা হয়।
তবে লস এঞ্জেলস কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ বন্ধে তেমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরও এই অভিবাসন বিরোধী তল্লাশিকে ‘নিষ্ঠুর’ বলে দাবি করেন। যদিও ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে দু-দিনের বিক্ষোভে ১১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। এরপরই সতর্ক হন ট্রাম্প ও এফবিআই।
ট্রাম্প ঘোষণা করেন স্থানীয় পুলিশের উপর ভরসা না করে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন হবে ক্যালিফোর্নিয়ায়। ২০০০ ন্যাশানাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দেন তিনি। সেই সঙ্গে এফবিআই ডিরেক্টর কাশ প্যাটেল দাবি করেন, যখন কোনও প্রশাসন নীরব থাকে তখন এফবিআই সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সেই সঙ্গে সরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের গায়ে একটি আঁচড়ও পড়লে শাস্তি জেল, স্পষ্ট করে দেন এফবিআই কর্তা। স্থানীয় পুলিশ যে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে সমর্থন জানাচ্ছে না, তাও স্পষ্ট করে দেন প্যাটেল। যদিও গভর্নরকে টপকে ট্রাম্পের ক্যালিফোর্নিয়ার দখল নেওয়াকে ভালো নজরে দেখছে না ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন।
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি, অগ্নিগর্ভ লস এঞ্জেলস, নামানো হল ২০০০ সেনা
