প্রতিবেদন: মাত্রাছাড়া গরম ছিল গত বছর। আর পূর্বাভাস বলছে, গড় তাপমাত্রার নিরিখে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণ বছরগুলির মধ্যে প্রথম তিনে থাকতে পারে ২০২৫। গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রাও রেকর্ড পরিমাণে বাড়ার আশঙ্কা। জানিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লুএমও)।
আরও পড়ুন-বিশ্বের বৃহত্তম গুহা হাং সন ডুং, এখন পর্যটকদের সেরা আকর্ষণ
তাপমাত্রা বৃদ্ধির মানদণ্ডে এপর্যন্ত উষ্ণতম বছর হিসাবে ২০২৪ সালকে ধরা হচ্ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাক-শিল্প উৎপাদন যুগের তুলনায় বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেলে জলবায়ুর স্থায়ী পরিবর্তনের সূচনা হবে। তাই ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ রাখতে হবে ১.৫ ডিগ্রির কম। কারণ বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ডেকে আনবে বহু প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলতি শতকের মাঝামাঝি গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ শূন্যের কাছাকাছি না নিয়ে এলে সমূহ বিপদ। অথচ ইতিমধ্যেই বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১.৪৫ ডিগ্রি। এরপর তা ১.৫০ ডিগ্রির গণ্ডিও ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস বলেছেন, এই দশকের মতো গরম এর আগে বিশ্ব দেখেনি। বিশ্বের উষ্ণতম ১০টি বছরের ১০টিই হল এই দশকের। যত সময় যাচ্ছে, জলবায়ুর ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে, যা মানবসভ্যতা ও জীবজগতের জন্য অতি উদ্বেগের। কার্বন নিঃসরণ না কমালে এর থেকে নিস্তার নেই। বিশ্ব আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হলে বিশ্বের সব দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে নিরন্তর মতবিনিময় ও সচেতনতার প্রচার জরুরি।