অ্যালঝাইমার্স এক জটিল মানসিক অবস্থা, কেন পালিত হয় দিনটি

Must read

প্রত্যেক বছর সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখে পালিত হয় বিশ্ব অ্যালঝাইমার্স দিবস। অ্যালঝাইমার্স (Alzheimer’s day তথা ডিমেনশিয়া সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা, আক্রান্তের পরিবারকে এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করা অর্থাৎ রোগটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়া, তাঁদের উৎসাহিত করা এবং একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলাই দিনটি পালনের আসল উদ্দেশ্য। কী এই অ্যালঝাইমার্স ডিমেনশিয়া? কেন সচেতনতা জরুরি?
আসলে অ্যালঝাইমার্স (Alzheimer’s day) হল ডিমেনশিয়ারই একটা ধরন। তাই একে অ্যালঝাইমার্স ডিমেনশিয়াও বলা হয়। মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এই অ্যালঝাইমার্স ডিমেনশিয়াই। বিশেষজ্ঞের মতে এটা কোনও রোগ নয়, মস্তিষ্কের একটা অবস্থা। বয়সজনিত কিছু পরিবর্তনের ফলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়। অ্যালঝাইমার্স ডিমেনশিয়ার নিরাময় সম্ভব নয় কিন্তু ঠিকমতো চিকিৎসা হলে এই রোগকে ত্বরান্বিত হওয়া থেকে আটকানো সম্ভব। তাই বিশ্ব অ্যালঝাইমার্স দিবসের (Alzheimer’s day) উদ্দেশ্য এই রোগটা সম্পর্কে আরও বেশি করে মানুষকে সচেতন করে তোলা।

পরিসংখ্যান
বর্তমানে বিশ্বে প্রতি ৭ সেকেন্ডে একজন করে মানুষ ডিমেনশিয়াতে আক্রান্ত হচ্ছে। গোটা বিশ্বে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডিমেনশিয়ার রোগী রয়েছে তার মধ্যে শুধু ভারতেই রয়েছে প্রায় ৪ মিলিয়নের বেশি। গবেষণা অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ১০০ মিলিয়ন আর ভারতে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে ১৪ মিলিয়ন। যা খুব সুখকর নয়।

ডিমেনশিয়া কী
ডিমেনশিয়া হল মস্তিষ্কের নিউরো ডিজেনারেটিভ ডিজঅর্ডার। সামগ্রিক বা আংশিক স্মৃতিশক্তি লোপ, কার্য-কারণ সম্পর্কযুক্ত ভাবনা-চিন্তার অসুবিধা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতার মতো একাধিক সমস্যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ডিমেনশিয়া বলা হয়। সবচেয়ে বহুল ও দুরারোগ্য ডিমেনশিয়ার উদাহরণ হল অ্যালঝাইমার্স। যার মূল উপসর্গ হিসেবে আমরা দেখি স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া। ডিমেনশিয়ার কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।

রিভার্সেবল ও ই-রিভার্সেবল
ডিমেনশিয়ার দুটো ফ্যাক্টর রয়েছে। রিভার্সেবল এবং ই-রিভার্সেভল। রিভার্সেবল ফ্যাক্টর হল যেসব কারণ সম্পর্কে সতর্ক থাকলে ডিমেনশিয়া আটকানো বা স্থগিত করা যেতে পারে। যেমন শিক্ষার অভাব, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, শ্রবণের সমস্যা, ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন, মানসিক অবসাদ, কায়িক শ্রমের অভাব, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, অতিরিক্ত মদ্যপান, মস্তিষ্কের আঘাত ও বায়ুদূষণ, কোলেস্টেরল, ক্রাশ ডায়েট, এক জায়গায় একটানা বসে থাকা, অপুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া ইত্যাদি। জীবনযাপনের বিভিন্ন পরিবর্তন এনে রোগীকে সুস্থ করে তোলা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে কম শিক্ষিত বা অর্ধ শিক্ষিত, গ্রামের মানুষদের ডিমেনশিয়ার প্রবণতা অনেক বেশি তুলনায় শিক্ষিত শহুরের মানুষের চেয়ে। এর কারণ যাঁর মস্তিষ্কের কাজ যত বেশি তাঁর ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার সম্ভাবনা তত কম।
ই-রিভার্সেবল ফ্যাক্টর হল যে ডিমেনশিয়ার নিরাময় সম্ভব নয়। যেমন বয়স, জিনগত বা বংশগত পারিবারিক ইতিহাসে যদি অ্যালঝাইমার্স (Alzheimer’s day) থাকে তাহলে এই রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আবার বিশ্বের কিছু শ্রেণিভুক্ত মানুষের মধ্যেও ডিমেনশিয়ার প্রবণতা অনেক বেশি দেখা দেয় তাঁদের জিনগত ফ্যাক্টরের কারণে। ৬৫ বছর বয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা গেলেও সম্প্রতি পঞ্চাশের কোঠায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে বাড়ছে ডিমেনশিয়ার প্রবণতা।

অনেকরকম ভুলে যাওয়া
ডিমেনশিয়ার একাধিক ধরন রয়েছে, কোনওটা আটকানো যায়, আবার কোনওটা যায় না। এই রোগের উপসর্গগুলো কিন্তু কম-বেশি সবক্ষেত্রেই এক। এর মধ্যে অ্যালঝাইমার্স ডিমেনশিয়া হল ই-রিভার্সেবল অর্থাৎ এর নিরাময় নেই এবং এটাই মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

অ্যালঝাইমার্স ডিমেনশিয়া
অ্যালঝাইমার্স হল ডিমেনশিয়ার সবচেয়ে সাধারণ, কঠিন রূপ। যা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রকট হয়। এর সবচেয়ে বড় উপসর্গ হল মেমরি লস বা স্মৃতিলোপ বা ভুলে যাওয়া। মূলত রিসেন্ট মেমরি লস। অর্থাৎ সদ্য ঘটে যাওয়া ঘটনা বা কার্যাবলি মনে রাখতে না পারা। দিনে দিনে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতেই থাকে, মেজাজ এবং আচরণগত পরিবর্তন দেখা দেয়।

ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া
উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা হাইকোলেস্টেরল ইত্যাদির প্রভাবে মানবদেহে ধমনির দেওয়ালে চর্বি জমে এবং দিনে দিনে এই ধমনি-পথ সংকুচিত হয়। এর ফলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয় এবং তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে ফলে বাড়ে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি। একে বলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস। এটি হলে মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস হয়ে যায়। এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিমেনশিয়া দেখা দেয়। অনেক সময় মস্তিষ্কে ছোট ছোট স্ট্রোক হয় যেগুলো আমরা টের পাই না, এর প্রভাবেও পরবর্তীকালে অ্যালঝাইমার্স হয়। লাইফস্টাইল মডিফিকেশনের মাধ্যমে ভাস্কুলার ডিমেনশিয়ার প্রতিরোধ সম্ভব। আবার ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া এবং অ্যালঝাইমার্স ডিমেনশিয়া একসঙ্গে মিশে মিক্সড ডিমেনশিয়াও হয় যা নিরাময় সম্ভব নয়।

লুই বডি ডিমেনশিয়া
মস্তিষ্কে এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন অতিরিক্ত জমা হওয়ার ফলে লুই বডি ডিমেনশিয়া হয়। এতেও দিনে দিনে স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে শুরু করে। পরবর্তী উপসর্গগুলো মোটামুটি একই।

ফ্রন্টো টেম্পোরাল ডিমেনশিয়া
এই ডিমেনশিয়া সাধারণত অনেকটা কম বয়সে হতে পারে। ব্রেনের ফ্রন্টাল লোবের ডিজর্ডারের কারণে হয়। এটাও জেনেটিক। ফ্রন্টো টেম্পোরাল ডিমেনশিয়া ই রিভার্সেবল অর্থাৎ নিরাময় সম্ভব নয়।

কী করে বুঝবেন
অ্যালঝাইমার্স (Alzheimer’s day) ডিমেনশিয়ার তিনটে প্রধান ধাপ মাইল্ড, মডারেট এবং সিভিয়র। একটা বিষয় মনে রাখা জরুরি, ডিমেনশিয়া ধরা পড়ার অনেক আগে থাকতেই কিন্তু অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন শুরু হতে পারে। কারও আগেই হয় আবার কারও রোগ ধরা পড়ার পর হয়।

যখন উপসর্গ হালকা
মাইল্ড স্টেজে রিসেন্ট মেমরি লস অর্থাৎ সদ্য ঘটে যাওয়া ঘটনা ভুলে যাওয়া। অনেক আগের কথা মনে থাকে কিন্তু গত দু’দিন আগের বা একদিন আগের ঘটনা মনে নেই। জিনিস রেখে খুঁজে পান না, অন্যকে দোষারোপ করেন। বাড়িতে অশান্ত পরিবেশ। জিনিস এমন একটা জায়গায় রেখে দেন যেখানে সেটা রাখবার কথাই নয় এবং অন্য জায়গায় তা খুঁজে বেড়ান। যেমন চশমা খাপে না রেখে হয়তো ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখলেন। রান্না বসিয়ে ভুলে গেলেন। যে মশলা দেওয়ার কথা সেটা দিলেনই না।
ক্যালকুলেশনের সমস্যা, ডেট বা তারিখ মনে রাখতে না পারা। পরিবারের আত্মীয়দের চিনতে পারছেন কিন্তু কিছু কিছু নাম মনে রাখতে পারছেন না।

আরও পড়ুন- হ্যাকিংয়ের শিকার সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল

যখন উপসর্গ গভীরে
মডারেট স্টেজে এই সমস্যাই আরও বাড়তে থাকে। রোজকার কাজকর্মে অসুবিধে হতে থাকে। বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে বেশি টাকা দিয়ে চলে এলেন। পরিবারের অন্যদের উপর নির্ভর হতে শুরু করেন রোগী। অনেক কিছুই সম্পূর্ণ ভুলে যেতে শুরু করেন। যেমন ব্যাঙ্কের কাজ হয়তো আর করা সম্ভব হচ্ছে না। খেয়েছেন কিন্তু সম্পূর্ণ ভুলে গেছেন। বলছেন আমি খাইনি। কিছুতে আর মনেই করতে পারছেন না যে তাঁকে খেতে দেওয়া হয়েছে। কারও নাম মনে রাখতে পারেন না।
শরীরের ভারসাম্য কমতে থাকে ফলে হাঁটাচলাতে সমস্যা শুরু হয়। ঘুমের সমস্যা আসে। ঘুম অনেক সময় কমে যায়। হ্যালুসিনেশন হতে থাকে। উদ্বেগ, বিভ্রান্তি, অবসাদ, বিষণ্ণতা এগুলো দেখা দিতে শুরু করে।

সমস্যা যখন জটিল
সিভিয়র স্টেজ মানেই কেয়ার গিভারদের ২৪x৭ দেখভালের শুরু। রোগী আর নিজে কিছু করতে পারেন না। বাথরুম নিয়ে যাওয়া থেকে নিজের জিনিসপত্রের ব্যবহার, জামাকাপড় পরানো, স্নান, খাওয়া, ফোন করা সবটাই অন্যকে করে দিতে হয়। এই পর্যায়ে নিজের বাড়িকেও চিনতে পারেন না রোগী। অলীক কল্পনা করেন। অথচ অনেক পুরনো ঘটনা, স্মৃতি মনে করতে পারেন। কারও কারও এই পর্যায়ে চরম মানসিক অবসাদ আসে আবার কারও আচরণে উগ্রতা অর্থাৎ ভায়োলেন্স দেখা দেয়। যেটা পরিবারের পক্ষে খুব সমস্যার হয়। এই সময় পরিবারকে খুব ধৈর্যের সঙ্গে রোগীকে মানসিকভাবে বুস্ট আপ করে যেতে হয়, নিজের মনও ভাল রাখতে হয় কারণ এটা একটা দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা।
সিভিয়রিটি বাড়লে রোগী ভালভাবে কথা বলতে পারেন না, নিজের কষ্টের কারণ বলতে অক্ষম হন। নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়, খাবার গিলতে পারেন না। চিনতেই পারেন না। এই সময়ও ঘন ঘন ভায়োলেন্স, বেশি ইরিটেশন, ডিপ্রেশন দেখা যায়।

কী করে ধরা পড়বে
শুরুতেই ধরা পড়ে না। অ্যালঝাইমার্স (Alzheimer’s day) হয়েছে কি না তা বোঝার কিছু টুলস রয়েছে। চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা করেন। প্রথমে তিনটে শব্দ বলা হয়, একটা নদী, একটা জাতি এবং একটা জায়গা। সেই নামগুলো রোগীকে পরপর জিজ্ঞেস করা হয়।
এরপরে হল ‘ক্লক ফেস ড্রয়িং’। এক্ষেত্রে একটা সময় বলে দেওয়া হয়। ধরা যাক পৌনে এগারোটা। এবার রোগী সেটা ঘড়িতে মার্ক করবে। কতটা ঠিকঠাক পারছেন সেটা দেখা হয়। এই পরীক্ষায় স্কোর কম এলে ধরে নিতে হবে ডিমেনশিয়া।
শেষে মিনি মেন্টাল স্টেটাস এগজামিনেশন (MMSE) করা হয়। এতেও বোঝা যায় ব্যক্তির অ্যালঝাইমার্স রয়েছে কি না।
এ ছাড়াও আরও নির্দিষ্টভাবে রোগটা ধরতে হলে বেশ কয়েকটা নিউরোসংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা রয়েছে। এছাড়াও ব্রেন এমআরআই করে দেখে নেওয়া যায়। আর অটোপসি টেস্ট— যে পরীক্ষার মাধ্যমে ডিমেনশিয়া শনাক্তকরণ সম্ভব।

চিকিৎসা
এই অসুখের শুরুতেই কোনও চিকিৎসা নেই। মাইল্ড স্টেজে একটা সার্বিক চিকিৎসা চলে। কো-মর্বিডিটি থাকলে সেইসব ওষুধপত্র দিয়ে, বিভিন্ন থেরাপির, লাইফস্টাইল মডিফিকেশনের মাধ্যমে এই রোগ কিছুটা আটকানোর চেষ্টা করা হয়। মাইল্ড স্টেজে রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। তখন কোনও ওষুধ দেওয়া হয় না। এই স্টেজটা চারবছর থাকে।
স্ট্রোকের কারণে ডিমেনশিয়া হলে জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে রোগীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ-সবল, ভাল রেখে, সারাক্ষণের নজরদারিতে এই ডিমেনশিয়ার প্রতিরোধ সম্ভব।
দ্বিতীয় ধাপে রোগী সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। রোজকার কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তখন প্রশিক্ষিত কেয়ার গিভার রাখতে হয় বা বাড়ির লোককেই এগিয়ে আসতে হয়। এই সময় থেকে ওষুধ শুরু করেন চিকিৎসক। ওষুধপত্র নিয়ে এখন বহু গবেষণা চলছে। নতুন নতুন ওষুধ আবিষ্কৃত হচ্ছে। যেমন অ্যান্টি আমাইলয়েড ড্রাগ প্রয়োগ করা হচ্ছে এখন। আমাইলয়েড প্লাক জমে মস্তিষ্কের কোষ ধংস করে দেয় যার ফলে অ্যালঝাইমার্স হয়। এই ওষুধ সেই প্লাক জমতে দেয় না। এছাড়া আরও নানা ওষুধ রয়েছে যা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। এগুলো এলে হয়তো আগামীতে অ্যালঝাইমার্স আটকানো সম্ভব। ডিমেনশিয়ার ভ্যাকসিনও এখন আন্ডার ট্রায়ালে রয়েছে।
এই রোগের শেষ পর্যায় রোগী যখন শয্যাশায়ী তখন কিন্তু আর ওষুধপত্র তেমন কাজে লাগে না। কারণ এবার তিনি জীবনের অন্তিম ধাপে এসে দাঁড়িয়েছেন। এবার যতটা সম্ভব কম ওষুধ দিয়ে আর শুধুমাত্র রোগীকে যত্ন, রক্ষণাবেক্ষণ করে একটু বেশি আরাম দিয়ে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। যতটা সম্ভব আরামদায়ক করে রোগীকে রাখাই শেষ পর্যায়ের চিকিৎসার একমাত্র শর্ত।

Latest article