প্রতিবেদন : গণপরিবহণে রাজ্যে বড়সড় বিপ্লব আসন্ন। শীতের মরশুমেই পরিবহণ দফতর দক্ষিণবঙ্গের ৬টি জেলার মধ্যে চলাচলের জন্য নতুন ২২টি বৈদ্যুতিক জলযান বা ই-ভেসেল নামাতে চলেছে। হুগলির ত্রিবেণী থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুরপুর পর্যন্ত গঙ্গায় বিভিন্ন রুটে বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় কেনা ৮০ থেকে একশো আসনের এই জলযানগুলি চালানো হবে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গেছে। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে যানজট মোকাবিলা করতে এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য সরকার জলপথ পরিবহণের ওপর জোর দিতে চায়। সেই লক্ষ্যেই এই ২২টি নতুন ই-ভেসেল যাত্রী পরিবহণের জন্য নামানো হবে বলে পরিবহণ সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন-ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ
এক-একটি ভেসেলের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। প্রথম পর্যায়ে এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এই পরিষেবা চালু হলে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনা জেলার মানুষ উপকৃত হবেন। নতুন জলযান চালানোর জন্য ৯টি জেটিঘাট সংস্কার করা হচ্ছে। সেখানে আধুনিক স্মার্ট গেটও বসানো হয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ যাত্রীদের ভেসেলে উঠতে হলে টিকিট কাটতেই হবে আর সেই টিকিটের টাকা সরাসরি সরকারের কোষাগারে জমা পড়বে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গাদূষণ রোধ করতে কঠোর পথে হাঁটা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সূত্রেই ডিজেল চালিত লঞ্চ পরিষেবা আস্তে আস্তে তুলে দিতে চাইছে রাজ্য।
আরও পড়ুন-পিকনিক মানচিত্রে লাউদোহার ইকো-ট্যুরিজম পার্ক
সেই জায়গায় নামানো হচ্ছে ই-ভেসেল। মোট ২২টি ই-ভেসেল সামনের শীতের মরশুমে একসঙ্গে উদ্বোধন করে চালু করে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই উদ্বোধনের কাজটি করবেন। সদ্যনির্মিত ৯টি জেটিঘাটেরও তিনি উদ্বোধন করবেন তিনি। বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় এই ই-ভেসেলগুলি কেনা হচ্ছে। ওই সব ভেসেলের নামকরণ করবেন মুখ্যমন্ত্রীই। নতুন এই ভেসেলগুলি থেকে যাতে গঙ্গায় বিন্দুমাত্র দূষণ না ছড়ায় তার জন্য প্রতিটি ভেসেলে বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থাও থাকছে।