মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh Cloudbrust)। এর জেরে ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। রবিবার রফাতে সোলান জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, শিমলায় শিবমন্দিরে ধসে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯জনের। অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডে চলছে ভারী বৃষ্টি। টানা কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির জেরে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দেরাদুন ডিফেন্স কলেজ।
স্টেট ইমার্জিন্সি অপারেশন সেন্টারের মতে, বিপর্যয়ের কারণে হিমাচল প্রদেশে ৭৫২টি রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। ২৪ জুন এ রাজ্যে বর্ষা শুরু হয়েছিল। এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির জেরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৭। এর মধ্যে, ৬৬ জন ভূমিধস এবং বন্যার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। ১৯১ জন সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্যান্য কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। ৩২ জন নিখোঁজ এবং ২৯০ জন আহত হয়েছেন। সরকারি তথ্য অনুসারে, রাজ্য এ পর্যন্ত ৯০ টি ভূমিধস এবং ৫৫টি বন্যার ঘটনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। অন্যদিকে,উত্তরাখণ্ডে দেরাদুন ও নৈনিতাল সহ ছয়টি জেলায় ভারী বৃষ্টির জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। অবিরাম বর্ষা বৃষ্টিতে পার্বত্য রাজ্যটি খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ কমপক্ষে ১৭ জন। প্রবল বৃষ্টিতে ভূমিধসের কারণে জাতীয় সড়ক-সহ বহু রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তেহরির কুঞ্জাপুরি বাগধারার কাছে ভূমিধসের কারণে ঋষিকেশ-চাম্বা জাতীয় মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়েছে। ঋষিকেশ-দেবপ্রয়াগ-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভারী বর্ষণে প্রায় ১হাজার ১৬৯ টি বাড়ি এবং বিপুল পরিমাণ কৃষি জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন-জেলে অব্যবস্থায় জেরবার ইমরান
হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh Cloudbrust) এবং উত্তরাখণ্ডে মোট ৬২১টি রাস্তা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। কোনও কোনও জায়গা মেরামতির কাজ চলছে। শুধুমাত্র শিমলাতেই ৫৯টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। শিমলা এবং চণ্ডিগড়ের সংযোগকারী শিমলা-কালকা জাতীয় সড়কে ধসের কারণে গত দু’সপ্তাহ ধরে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রবিবার প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, বর্ষায় হিমাচলে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু সাধারণ মানুষকে ঘরের ভিতরে থাকার এবং নদীর ধারে না যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি এহেন পরিস্থিতিতে পর্যটকদের সে রাজ্যে প্রবেশ না করার অনুরোধ করেছেন তিনি। হিমাচলে ফুঁসছে খরস্রোতা বিপাশা নদী। বৃষ্টিপাতের ফলে এ রাজ্যের মানুষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।