প্রতিবেদন: রাষ্ট্রদ্রোহ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে আরও কড়া ভাবে ইউএপিএ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার৷ বিরোধী শিবির সরকারের এই মনোভাবকে দমনমূলক আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল৷ সেই ইউএপিএ আইনের কার্যকারিতা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠে গেছে, সরকারি সূত্রে সামনে আসা পরিসংখ্যানের মাধ্যমে৷ ২০১৪ থেকে ২০২২— মোদি সরকারের রাজত্বের এই আট বছরের পরিসংখ্যানে জানা যাচ্ছে ইউএপিএ প্রয়োগে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোট মামলা দায়ের করা হয়েছিল ৮৭১৯টি৷ এই মামলাগুলির বিচারের পরে সাজা হয়েছে মাত্র ২২২ জনের৷ ৫৬৭টি মামলায় অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস পেয়েছে৷
আরও পড়ুন-মহিলা কলাকুশলীদের নিরাপত্তায় চালু ফেডারেশনের ‘সুরক্ষা বন্ধু’
এর পরেই সরকারি স্তরে এবং রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই বেশির ভাগ সময়ে সরকারের তরফে ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে ২০১৪ থেকে ২০২২-র মধ্যে? তা না হলে মাত্র ২২২ জনের কী করে সাজা হল এবং বাকিরা রাষ্ট্রদ্রোহে লিপ্ত থাকার গুরুতর অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেন কীভাবে? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে দিল্লিতে রাজনৈতিক মহলে৷ সরকারি সূত্রের দাবি, গোটা বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সরকারি স্তর৷ ইউএপিএ আইনের প্রয়োগপন্থায় কোনও খামতি থাকছে কি না, খতিয়ে দেখা হবে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের তরফে৷ একবার ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করার পরে যে পদ্ধতি মেনে তদন্ত করা হচ্ছে, তা সঠিক হচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখা হবে সেই দিকটিও, দাবি সরকারি সূত্রের৷ প্রয়োজনে আইনটির প্রয়োগ পন্থায় কোনও বদল আনতে হবে কি না, সেই বিষয় নিয়ে আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও একপ্রস্থ আলোচনা করবেন কেন্দ্রীয় সরকারি আমলারা, দাবি সরকারি সূত্রের৷