প্রতিবেদন : উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের পর ফের এক নৃশংস গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায়। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার (Software Engineer Allegedly Gangraped) এক তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ১০ জন মিলে তাঁকে গণধর্ষণ ও মারধর করে বলে অভিযোগ। পরে তাঁকে নির্জন এলাকায় ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতবিক্ষত ওই তরুণী কোনওরকমে বাড়ি ফিরে আসেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনার সময় ওই তরুণীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক পুরুষবন্ধু। কিন্তু তাঁকেও বেধড়ক মারধর করে দুষ্কতীরা।
আরও পড়ুন: রেশনকার্ডে যিশুর ছবি, তীব্র উত্তেজনা ছড়াল কর্নাটকে
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এই নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার (Software Engineer Allegedly Gangraped) ওই তরুণী বর্তমানে ওয়ার্ক ফ্রম হোম অর্থাৎ বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে মোটরবাইকে চেপে নিজের কিছু কাজে বের হন তিনি। চাইবাসায় একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে তাঁরা দু’জন কথা বলছিলেন। তখনই আট থেকে দশজন দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে হাজির হয়। দুষ্কৃতীরা প্রথমে তরুণীর বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর তরুণীকে মারতে মারতে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নেয় ওই এলাকা থেকে চম্পট দেয়। নির্যাতিতা তরুণী জানিয়েছেন, এরপর তাঁকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ১০ জন ধর্ষণ করে। সেখানেও তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে একটানা ভয়ংকর নির্যাতন চালানোর পর ফের তাঁকে গাড়িতে তুলে চাইবাসার এক নির্জন এলাকায় ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় তাঁর টাকার ব্যাগ ও মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়ে অভিযুক্তরা। বাড়ি ফেরার পর পরিবারের লোকজন তাঁকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই তরুণী। চাইবাসা পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ১০ জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।