ফের নজরে হাতরাস (Hathras)। অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার চূড়ান্ত নিদর্শন। এবার উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ২৭জনের মৃত্যু হল। সৎসঙ্গের এই অনুষ্ঠানে ভিড় ছিল দেখার মত। বেরোনোর সময় লোকজন ছোটাছুটি করা শুরু করার ফলেই পদপিষ্টের ঘটনা হয় বলে জানা গিয়েছে। হাথরাসের সিকান্দারা রাউ শহরে অস্থায়ী এক তাঁবুতে এক ধর্ম প্রচারক তাঁর অনুগামীদের উদ্দেশে এদিন ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ এরমকম ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরী হয়।
আরও পড়ুন-আদানি রিপোর্ট: শোকজ নোটিশ পেয়ে সেবি-কে ‘ননসেন্স’ বলল হিন্ডেনবার্গ, তোপ দাগলেন মহুয়াও
এই মর্মে আলিগড় রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল শলভ মাথুর বলেন, ‘ভোলে বাবা নামে এক ধর্ম প্রচারকের সৎসঙ্গ সভা ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে এটাহ ও হাথরাস জেলার সীমান্তে কিছুক্ষনের জন্য এই জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়। প্রাথমিক রিপোর্টে ২০ জনেরও বেশি মৃত্যু হতে পারে জানানো হয়েছে। বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু।’
আরও পড়ুন-কালনা স্টেশনের কাছে চলল গুলি, মৃত ১
যদিও সূত্রের খবর ২৭ টিরও বেশি মৃতদেহ ইটাহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে দমবন্ধ হয়েই এমন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তারা। ভিড় ক্রমশ বাড়তে শুরু করে আর সেই চাপ থেকে বাঁচার জন্য হঠাৎ দৌড়োদৌড়ি শুরু হয়ে যায়। যার ফলে পদপিষ্টের ঘটনা হয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে এখনও সঠিক কারণ জানা যায়নি। যারা বেঁচে আছেন তাদের থেকে গোটা বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন-ব্যবসায়ীকে গুলি করে লক্ষ লক্ষ টাকা ছিনতাই, চাঞ্চল্য
ইটাহ’র মুখ্য় স্বাস্থ্য আধিকারিক উমেশ কুমার জানান, ২৭টি দেহ নিয়ে আসা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। তার মধ্য়ে ২৫জন নারী ও ২জন পুরুষ। এছাড়া অনেকেই আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রচন্ড গরমের মধ্য়ে ওই সৎসঙ্গের আসর শুরু হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরে সকলে একসাথে বেরোনোর সময় শুরু হয় পদপিষ্টের ঘটনা। তার মধ্যেই বাইরে অনেক মোটর সাইকেল দাঁড় করানো ছিল। তাই বেরোনোর ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এডিজি আগ্রার নেতৃত্বে কমিশনার টিম তৈরি করে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।