প্রতিবেদন : আরও এক পরিবারের মর্মান্তিক পরিণতি। নেপথ্যে আর্থিক সমস্যা। মঙ্গলবার সকালে কসবার হালতু (Haltu case) থেকে উদ্ধার হল একই পরিবারের তিনজনের দেহ। স্বামী, স্ত্রী ও তিন বছরের শিশুপুত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। এদিন সকালে অনেকক্ষণ দরজা না খোলায় প্রতিবেশীরা অ্যাজবেস্টারের চাল ভেঙে দেখেন তিন বছরের ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ঝুলছেন সোমনাথ রায় (৪০)। পাশেই ঝুলছে তাঁর স্ত্রী সুমিতা রায়ের (৩৫) দেহ। সোমনাথ পেশায় অটো চালক। রামলালবাজার-গড়িয়া রুটে অটো চালাতেন তিনি। এক সময় তাঁর দু’টি অটো ছিল। কিন্তু পুত্রের চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে একটা অটো বিক্রি করতে বাধ্য হন সোমনাথ। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। সেখানেও আর্থিক সমস্যার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, সোমনাথের বাড়ির পাশেই থাকে তাঁর মামা-মামি। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের সঙ্গে পারিবারিক বিবাদ চলছিল এই সোমনাথদের। বাড়ির ট্যাক্স দেওয়া নিয়েও চলছিল অশান্তি। সোমনাথের সেই মামা-মামি এবং মাসিকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। এমনকী সোমনাথরা এমন ভাবে আর্থিক অনটনে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল যে বাড়িতে পাওনাদাররা তাগাদা দিচ্ছিল। কসবা থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্য পাঠায়।
আরও পড়ুন- গাড়ি চাপা পড়ার মূল ভিডিও প্রকাশ করুক এসএফআই, ঘটনার ছবি দেখিয়ে চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের