বান্ডিল বান্ডিল টাকা নিয়ে ঝাড়খন্ডে যাওয়ার পথে আটক কংগ্রেসের (3 Congress MLA) তিন বিধায়ক। একটি কালো রঙের গাড়িতে রাজেশ কাশ্যপ, নমন দিক্ষল ও ইরফান আনসারি নামে ঝাড়খন্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক কলকাতা (Kolakata) থেকে রওনা দেন। শনিবার সন্ধে নাগাদ ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে হাওড়ার রানিহাটি মোড়ের কাছে নাটকীয় কায়দায় তাঁদের গাড়ি আটকায় পুলিশ। গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়। ঘটনায় তিন বিধায়ককে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রাজস্থানি এবং গুজরাতিরা না থাকলে মুম্বই বাণিজ্যনগরী হত না’
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, আগে থেকেই জাতীয় সড়কে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিলেন হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের কর্তারা। সেই সময় তাদের (3 Congress MLA) গাড়িটি আটকান তাঁরা। বিধায়কদের ব্যাগের মধ্যে থরে থরে টাকাগুলি সাজানো ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেই টাকা কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন সেই বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কংগ্রেসের বিধায়করা। এত টাকা নিয়ে যাওয়ার বৈধ কোনও কাগজপত্রও তাঁদের কাছে ছিল না বলে অভিযোগ। তিন বিধায়কেরই কথাবার্তায় বিস্তর অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। এরপর তাঁদের তিনজনকেই পাঁচলা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। হাওড়া জেলার(গ্রামীণ) পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া জানান “বিপুল পরিমাণ ওই টাকা গুণতে ব্যাঙ্ক থেকে মেশিন আনা হয়েছে। গণণার শষে কত টাকা রয়েছে তা জানা যাবে। তবে তিনজনই ঝাড়খন্ডের কংগ্রেসের বিধায়ক। এই সংক্রান্ত পরিচয়পত্র তাদের থেকে পাওয়া গিয়েছে। ওই টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। কী উদ্দেশ্যে তাঁরা ওই টাকা কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন তাও আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। আপাতত ওদের আটক করে পাঁচলা থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করা হচ্ছে। ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, “ঝাড়খণ্ডের তিনজন কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার হয়েছে হাওড়ায়। আমি যদি খুব ভুল না হই, ওই টাকার বিনিময়ে তারা বিজেপির কাছে বিক্রি হতে এসেছিলেন। কারণ বিজেপির নেতারা কয়েকদিন আগেই বলছিলেন মহারাষ্ট্রের পরে তাদের টার্গেট রাজস্থান এবং ঝাড়খন্ড। কে বলতে পারে প্রতিবেশী রাজ্যের সরকার ফেলার ডিলিং কলকাতায় বসে হচ্ছিল না? রাজ্য পুলিশের কাছে অনুরোধ, ব্যাপারটি অত্যন্ত গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হোক।”