প্রতিবেদন: গুজবের পরিণতিতে মর্মান্তিক মৃত্যু। বাঁচতে গিয়ে যেন মৃত্যুর কাছে আত্মসমর্পণ। চলন্ত ট্রেনের মধ্যে হঠাৎই রটে যায়, আগুন লেগেছে। নিমেষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালাতে গিয়ে উল্টোদিক থেকে আসা মালগাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারালেন ৩ জন। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে রেলের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে। এবং অবশ্যই সুরক্ষা-ব্যবস্থা নিয়ে।
আরও পড়ুন-শুধু রামের জন্মভূমিতেই বিপর্যস্ত নয়, সীতা ও হনুমানের জন্মস্থানেও মুখের উপর জবাব পেল বিজেপি
শুক্রবার রাতের ঘটনা। ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলার কুমান্দিহ স্টেশনের কাছে। সাসারাম-রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস কুমান্দিহ স্টেশনে পৌঁছতেই হঠাৎ ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে৷ তাতেই যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন৷ ট্রেনে আগুন লেগেছে বলে দ্রুত গুজব ছড়িয়ে পড়ে৷ যাত্রীরা ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন৷ অন্ধকারে অনেকেই টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান। পায়ের নিচে চাপা পড়ে জখমও হন কয়েকজন। এমন সময় হঠাৎ উল্টোদিক থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রেন এসে ধাক্কা মারে বহু যাত্রীকে৷ প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, তিনজনের মৃত্যু হয়েছে৷ গুরুতর জখম হন আরও কয়েকজন। আর্তচিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেয়ে বারওয়াডিহ থেকে আসেন রেলের আধিকারিকরা। ব্যবস্থা করা হয় প্রাথমিক চিকিৎসার। এই ট্রেনেই ছিলেন পালামৌ জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক নীতা চৌহান৷ তিনি জানান, আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই লোকজন নেমে আসতে থাকে৷ একজন যাত্রী তাঁর সন্তানদের নিয়ে ঝাঁপ দেন ট্রেনলাইনে৷ তিনিও গুরুতর আহত হন ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন৷ দুর্ঘটনার জেরে গরিব রথ এক্সপ্রেস, ডাউন বিডিএম প্যাসেঞ্জার ট্রেন বারওয়াডিহে থমকে দাঁড়ায়। বারাণসী-রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস গাড়োয়া রোড রেলস্টেশনে আটকে পড়ে। এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল রেলের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে।