প্রতিবেদন : রবিবারের সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে। ম্যানহোল পরিষ্কার করতে নেমে মৃত্যু হল কেএমডিএ-র তিন সাফাইকর্মীর। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ট্যানারির বর্জ্যের দুর্গন্ধে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে শ্রমিকদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সাফাইকর্মীদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে তাঁদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন তিনি। সঙ্গে জানান, এই ঘটনার পিছনে যাঁর বা যাঁদের গাফিলতি রয়েছে, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। ইতিমধ্যেই ঠিকাদার সংস্থার এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এদিন সকালে লেদার কমপ্লেক্সের ৪৫২ নং প্লটে ট্যানারির পাইনলাইন পরিষ্কার করতে নামেন ফারজেম শেখ, হাসি শেখ ও সুমন সর্দার তিন শ্রমিক। চামড়া ধোওয়ার রাসায়নিক মিশ্রিত জল জমেছিল ওই পাইপলাইনে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও কেউই উঠে আসেননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ ও দমকলের উদ্ধারকারী দল।
আরও পড়ুন-পুলিশ কমিশনার বদলের পরেই নৈহাটিতে তৃণমূল কর্মী খুনের প্রথম গ্রেফতারি
সাফাইকর্মীদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য এনআরএস হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে কেন, কীভাবে মৃত্যু খতিয়ে দেখেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জানান, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা! মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফোন করে আমায় আসতে বললেন। ফ্যাক্টরিগুলো থেকে যে চামরা ধোয়া জল বেরয়, সেটা ম্যানহোলে ঢুকেছিল। তারপর কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন হয়ে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল। একজন শ্রমিক সেই ম্যানহোলে ঢুকে মারা যায়, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।মহানাগরিকের আরও বক্তব্য, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, কার দোষ; তা নিয়ে পুলিশও তদন্ত করবে, কেএমডিএ-ও তদন্ত করবে। কেন শ্রমিককে ম্যানহোলে নামানো হল, কেন পাম্প লাগিয়ে পরিষ্কার করা হল না, কেন আগে থেকে পরীক্ষা করে দেখা হল না কোনও বিষাক্ত গ্যাস আছে কিনা; সবকিছুই তদন্ত করে দেখা হবে। ঠিকাদার কিংবা আধিকারিক যারই গাফিলতি হোক, কাউকে ছাড়া হবে না। আমরা তো আর উত্তরপ্রদেশ নই যে যে প্রকৃত মৃত্যুর ঘটনা চেপে গঙ্গায় দেহ ভাসিয়ে দেব!