বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম দিল্লির (West Delhi) পেরাগড়িতে ক্যান্ডির লোভ দেখিয়ে ৩ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবেই এমন এক বিকৃতমনস্ক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযোক্ত যুবকের তল্লাশি শুরু করে এবং শহর জুড়ে কমপক্ষে ৩০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন-গ্রীষ্মের দাপট, এপ্রিলের শুরুতেই ৪০ ছুঁতে চলেছে তাপমাত্রা
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবক ক্যান্ডির লোভ দেখিয়ে শিশুকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় এবং তারপর তাকে ধর্ষণ করে। শিশুটি বাড়িতে সময়মত না ফেরায় খোঁজ শুরু হয় তার। পরে শিশুটির মা অভিযুক্তের বাড়িতে তাকে কাঁদতে দেখেন। মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেন অভিযুক্ত আলাদা সম্প্রদায়ের। যেকোন রকম অপ্রীতিকর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জিমি চিরাম এই অবস্থায় জানান, দুপুরের দিকে ওই শিশুকে ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন আসে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। শিশুকে উদ্ধার করে সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেয়েটির বাবা পেশায় একজন রিকশাচালক। তিনি সকালে কাজে বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে তার স্ত্রী, একটি শিশু কন্যা এবং নির্যাতিতা শিশুটি ছিলেন। অভিযুক্ত যুবক বাড়িতে ভাই এবং ভাগ্নের সঙ্গে থাকে। তার স্ত্রী এবং সন্তান গ্রামের বাড়িতে থাকে। জানা যায়, বাড়ির বাইরে খেলছিল শিশুটি। তখন ক্যান্ডির লোভ দেখিয়ে তাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এরপরেই শিশুর গোপনাঙ্গ থেকে বিপুল পরিমান রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে শিশুটি তার মাকে সব কিছু যাননি এবং তিনি তার স্বামীকে জানালে তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধর্ষণ এবং পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে । ধর্ষণের পর যুবক পালিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রায় ৩০ টিরও বেশি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের ঘটনার পরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা বিচারের দাবিতে সেখানে পৌঁছে বিক্ষোভ করেন। তবে সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকায় সমস্যা এড়ানো গিয়েছে।