একদিকে জ্বালানির দাম ক্রমশ বাড়ছে অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে দূষণের মাত্রা। এই অবস্থায় কলকাতা ও সংলগ্ন বিভিন্ন ফেরিঘাটে ব্যাটারি চালিত ভেসেল (Vessel) নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পরিবহণ দফতরের তরফে। এবার গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সের (Garden Reach Ship Builders) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করল রাজ্য সরকার। গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সকে ১৩ টি ব্যাটারি চালিত ভেসেল নির্মাণের জন্য ৩০০ কোটি টাকা বরাত দিয়েছে পরিবহণ দফতর। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে মঙ্গলবার চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-পরিবর্তনের ভোট মহারাষ্ট্রে
পরিবেশবান্ধব এই ভেসেলগুলি হাইব্রিড মোডের। ব্যাটারি চালিত হলেও প্রয়োজনে ডিজেলে চালানো যাবে এই ভেসেলগুলি। এরমধ্যে ৬ টি উন্নতমানের ভেসেল তৈরিতে খরচ পড়বে ১২৬ কোটি টাকা। প্রত্যেকটিতে দুটি করে ডেক এবং ২০০ জন করে যাত্রী বহন করার ক্ষমতা থাকবে। ভেসেলগুলির দৈর্ঘ্য হবে ৩০ মিটার এবং প্রস্থ হবে ১০ মিটার। সর্বোচ্চ ১২ নটস গতিতে চলতে পারবে এই ভেসেল। প্রধান ডেকটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হবে। বাকি ৭ টি ভেসেল তুলনামূলক কম খরচ পড়বে। এই ভেসেলগুলি আকারে ছোট হবে। এগুলির দৈর্ঘ্য হবে ২৫ মিটার এবং প্রস্থ হবে ৮ মিটার। এগুলি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত নয়। এই ডেকগুলিতে যাত্রী বহনের ক্ষমতা অনেকটাই কম। এই ভেসেলগুলি ১০০ জন করে যাত্রী বহন করতে পারবে।
আরও পড়ুন-এবার দ্রোহের রাত্রিবাস হোটেলে মধুচক্র, পুলিশের জালে ‘বিপ্লবী’ ডাক্তার-নেতা
ভেসেলগুলি ব্যাটারি চালিত বলে চার্জিং স্টেশনের প্রয়োজন হবে। তাই ফেরিঘাটেই চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলা হবে। যে ঘাট থেকে ভেসেলগুলি ছাড়বে সেখানে চার্জিং স্টেশন তৈরী করা হবে। এই চার্জিং স্টেশন তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স। প্রাথমিকভাবে বাবুঘাট থেকে হাওড়া রুটগুলিতে এই ভেসেলগুলি চালানো হবে। পরে দক্ষিণেশ্বর, বেলুড় রুটেও চালানো হবে বলেই খবর। স্বাভাবিকভাবে এর ফলে দূষণ এবং খরচ দুটোই কমবে বলে মনে করছে পরিবহণ দফতর।