মানুষের নিঃশ্বাসের বিশ্বাস নেই। এই কথা বর্তমানে খুবই প্রাসঙ্গিক। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা (Air India Plane Crash) অত্যন্ত মর্মান্তিক। উড়ানে ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে মৃত ২৪১ জনই। কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমানটিতে যাত্রীরা কিছু না কিছু স্বপ্ন নিয়ে উড়ানের আসনে বসেছিল। কেউ লন্ডনে গিয়ে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে সংসার করার স্বপ্ন দেখেছিলেন তো কেউ বিয়ের পর প্রথমার সেখানে স্বামীর কাছে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এ ভাগ্যের পরিহাস ছাড়া আর কী। উড়ান টেক অফের ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ওপর। আগুন ধরে ভস্মীভূত হয়ে যায় বিমানটি। এরপর শুধু দেখা যাচ্ছে পুড়ে দলা পাকিয়ে যাওয়া দেহ, ঝলসে যাওয়া দেহাংশ। কে বিমানযাত্রী কেই বা মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলের আবাসিক চেনার উপায় নেই। পাওয়া গিয়েছে ৩১৯ টি দেহাংশ।
আরও পড়ুন-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ২৯৭ জনের মধ্যে মাত্র ৮টি দেহ এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। কফিনবন্দি ৮টি দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিমান ভেঙে পড়ার পর যাত্রীদের দেহ এমনভাবে দগ্ধ হয়েছে যে চেনা যাচ্ছে না। এমনকী অনেকের দেহ থেকে হাত-পা আলাদাও হয়ে গিয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে তবেই দেহ চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত মোট নিখোঁজ বা নিহতদের পরিবারের ২১৯ জনের ডিএনএ স্যাম্পেল গ্রহণ করা হয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা করে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে অনেকক্ষণ কিছুটা সময় লাগবে। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) পর থেকে আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে এসেছে মোট ২৬৫টি দেহ।
আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালের ওয়েটিং হলে পা রাখার জায়গা নেই। নিহতদের আত্মীয়-পরিজন তাঁরা। ড্রিমলাইনার তাঁদের সব স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। এখন তাঁরা শুধু প্রিয়জনের দেহের অপেক্ষায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আগে ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করা হবে। শুধু ওয়েটিং হল নয়, মর্গের সামনেও একই দৃশ্য। স্বজনহারা মানুষের কান্না, হাহাকার।