প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বহাল, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে রায় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের

Must read

প্রাথমিকের ৩২ হাজার (32000 Primary Job) চাকরি বহাল। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguli) নির্দেশ খারিজ করে রায় দিল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ (Division)। বুধবার, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের পর্যবেক্ষণ, ৩২ হাজার শিক্ষক এত দিন চাকরি করেছেন। তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে আদালত চাকরি বাতিল করছে না। একই সঙ্গে আদালত জানায়, নিরাপরাদরা কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন না।

হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্তা ED ও CBI দাগিদের চিহ্নিত করতে পেরেছে। সেই সংখ্যাটা ৩০০-র কিছু বেশি। তার জন্য ৩২ হাজার (32000 Primary Job) শিক্ষক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন না। এক সাংবিধানিক বিচারপতির কোনও ভাবেই তদন্তে নাক গলিয়ে রায় দেওয়ার কথা নয়। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় নিয়ে পর্যবেক্ষণে জানান ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা। যে নথি পেশ করা হয়েছে, তাতে প্রমাণ হয় না যে ৩২ হাজারই অযোগ্য। ৯ বছর পরে চাকরি হারালে পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মত বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর পর্যবেক্ষণে বলেন, আদালত কোনও ‘রোমিং এনকোয়ারি’ চালাতে পারে না। যাঁরা এতদিন ধরে চাকরি করছিলেন, তাঁদের লেখাপড়া করানোর ধরনের উপর কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। যখন এই ইন্টারভিউ প্রসেস চলছিল, সেই সময় যিনি পরীক্ষক ছিলেন তিনি টাকা নিয়ে অতিরিক্ত নম্বর দিয়েছেন তাঁর কোনও প্রমাণ নেই। যার ফলে গোটা ইন্টারভিউ পর্বে যে গলদ হয়েছে সেটা একেবারে বলা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন-গঙ্গা-ভাঙন রোধে ২০০ কোটি দিয়েছে রাজ্য, কেন্দ্র কিছুই করেনি: তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রাথমিক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। ২০২৩-এ তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষককের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। তবে, সেই নির্দেশ ছিল, চাকরি বাতিল হলেও শিক্ষকরা স্কুলে যাবেন। তিনমাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুরও নির্দেশ দেওয়া হয়।

সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। সেই রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। তবে একই সঙ্গে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশও দেওয়া হয়। এরপর রাজ্য ও পর্ষদ ২ পক্ষই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। মামলা ফেরত কলকাতা হাইকোর্টে পাঠায় শীর্ষ আদালত। বাদি-বিবাদী দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে ডিভিশন বেঞ্চ চূড়ান্ত রায় দিক বলে নির্দেশও দেওয়া হয়।

এ দিন কোর্ট এও বলেছে, মামলা যাঁরা করেছিলেন, তাঁরা কেউ চাকরি করছিলেন না। ফলে যাঁরা পাশ করেননি তাঁদের জন্য গোটা প্রক্রিয়াকে নষ্ট করা যায় না। আর সেই যুক্তিতেই ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের রায়কে খারিজ করল।

Latest article