প্রতিবেদন : চাকরি থাকছে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার। পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে নয়, নিয়ম মেনে আগের মতোই শিক্ষক হিসেবে প্রাপ্য বেতনই পাবেন তাঁরা। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর শুক্রবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। স্বাভাবিকভাবেই আপাতত স্বস্তি পেলেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা। তবে আগামী ৩ মাসের মধ্যে প্রাথমিকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার যে নির্দেশ সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে, তা বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন-মাঝপথে ফিরে আজ নিজামে অভিষেক, ক্ষমতা থাকলে গ্রেফতার করুক
লক্ষণীয়, ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরিতে নিযুক্ত ৪২,৫০০ শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে প্রশিক্ষণহীন ৩৬ হাজার জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সেই নির্দেশ সংশোধন করে বিচারপতির সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা আসলে ৩২ হাজারের কাছাকাছি। একইসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, আগামী ৪ মাস চাকরি যাবে না কারওরই। কিন্তু স্কুলে তাঁদের ভূমিকা হবে শিক্ষকের নয়, পার্শ্বশিক্ষকের। বেতনও পাবেন পার্শ্বশিক্ষকেরই সমতুল্য। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলায় অংশ নেন চাকরিহারাদের একাংশও। ডিভিশন বেঞ্চ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর। মামলার পরবর্তী শুনানি সেপ্টেম্বরেই।
আরও পড়ুন-অভিষেককে আটকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন নবজোয়ারে, জানালেন দলনেত্রী
একনজরে রায়
* পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে।
* পার্শ্বশিক্ষকদের হারে নয়, আগেই মতোই বেতন পাবেন এই শিক্ষকরা।
* প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা বহাল থাকবে।
* আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।