প্রতিবেদন : সাম্প্রতিক অকালবৃষ্টি এবং ডিভিসির ছাড়া জলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বাংলা শস্যবিমা যোজনা প্রকল্পের আওতায় তাঁদের মোট ৩২১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে বেশ কিছু জেলায় আলু ও ধান চাষের ক্ষতি হয়েছে। বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ডিভিসির ছাড়া জলেও আলু নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-ভুতুড়ে ভোটার, প্রতিবাদে ডেপুটেশন বিমান-সায়নীর
নবান্নে এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওই ভিজে যাওয়া আলু কিনে নেওয়া হচ্ছে। সুফল বাংলার মাধ্যমে সেগুলি বিক্রি করে দেওয়া হবে। এছাড়াও রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ আলুর সহায়কমূল্যও প্রতি কুইন্টাল ৯০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এর ফলে আলুচাষিদের আয় বাড়বে। অভাবি বিক্রি বন্ধ হবে।
সম্প্রতি ডিভিসির ছাড়া জলে বানভাসি হয়েছে উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রায় ১৩০০ বিঘা আলুর জমি ও ৬০০ বিঘা ধানজমি জলের তলায় চলে যায়। প্রায় ৬০০ কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এইভাবে ডিভিসি রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে জল ছেড়ে যাচ্ছে। আর ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকরা। সেইসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। সম্প্রতি তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই ফের ৩২১ কোটি টাকা শস্যবিমা বরাদ্দ করা হল। একদিন আগেই শস্যবিমার ৩৫১ কোটি টাকা ছেড়েছে রাজ্য সরকার।